Advertisement
Advertisement

Breaking News

Covid-19

করোনা মোকাবিলায় শামিল দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের সংস্থাও, খাবার তুলে দিল অভুক্তদের মুখে

তাঁদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে দেশবাসী।

Blind Cricket Association provides food and medical supplies to the underprivileged amid COVID-19 crisis | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:May 16, 2021 9:45 pm
  • Updated:May 16, 2021 9:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডে (Covid-19) বিধ্বস্ত ভারত। দৈনন্দিন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন চার লক্ষ বা সাড়ে তিন লক্ষের পাশাপাশি। তেমনি প্রত্যেকদিন জারি মৃত্যুমিছিলও। এই অবস্থায় অনেকেই করোনা মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। কেউ জোগাড় করে দিচ্ছেন চিকিৎসার সরঞ্জাম, কেউ অর্থ তো কেউ আবার আর্ত, দুঃস্থদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ভার নিয়েছেন। এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রাক্তন-বর্তমান ক্রিকেট তারকারাও। বিরাট-শিখর-শেহওয়াগ-পাণ্ডিয়া-পাঠান ভাইরা-তালিকা অনেকটাই দীর্ঘ। তাতেই এবার যুক্ত হল দেশের দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের বোর্ডও। দরিদ্রদের খাবার দেওয়া কিংবা তাঁদের জন্য চিকিৎসার সামগ্রী জোগাড় করছে তাঁরা। আর এ খবর সামনে আসতেই তাঁদের এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ।

করোনা আবহে দেশে বন্ধ প্রায় সবধরনের খেলাধূলা। এমনকী মারণ ভাইরাসের থাবায় মাঝপথেই বন্ধ হয়েছে আইপিএলও। তাই আপাতত ক্রিকেটকে পিছনের সারিতে রেখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই বদ্ধপরিকর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্লাইন্ড ইন ইন্ডিয়া (Cricket Association for Blind in India) বা CABI। হাসপাতালে খালি বেডের সন্ধান দেওয়া কিংবা পিপিই কিট, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়ে সাহায্য করাই অগ্রাধিকার বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এমনকী গরিবদের মুখে খাবারও তুলে দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের বাকি ম্যাচগুলি খেলতে কবে কাতার যাচ্ছেন সুনীলরা? জানাল AIFF]

সমর্থনম ট্রাস্ট নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিড মোকাবিলায় নেমেছে CABI। ওই ট্রাস্ট এবং বোর্ডের সভাপতি মহন্তেশ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় একটি আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। লোকের বাড়িতে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ মানুষকে খাবার খাওয়াতে পেরেছি আমরা। দরিদ্র পরিবারের থেকে রেশন এবং চিকিৎসার সাহায্যের জন্য ফোন পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরও সাহায্য করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষকে শুকনো রেশন দিয়ে সাহায্য করেছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি প্রথম সারির যোদ্ধাদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদেরও প্রায় ৬৫ হাজার পিপিই কিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি, পুলিশকর্মী, চিকিৎসকরাও রয়েছেন।” তাঁদের এই কাজই এবার প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা দেশের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২০০৯ সালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি, কিন্তু কেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ