ফাইল ছবি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ইউনুস জমানায় আরও বিপাকে বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার তথা হাসিনা আমলের আওয়ামি লিগ সাংসদ শাকিব আল হাসান। এবার আর্থিক প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই পরোয়ানা জারি করেছে। দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তারির মুখে পড়বেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। আট বছর আগে বাংলাদেশের এক ব্যাঙ্ক থেকে দেড় কোটি ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেওয়া মামলায় বিপাকে পড়লেন শাকিব। এনিয়ে অবশ্য শাকিবের সংস্থা ‘শাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’-এর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অভিযোগ ২০১৭ সালের। সেবছর বাংলাদেশের একটি ব্যাঙ্ক থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল শাকিব আল হাসানের সংস্থা। কিন্তু তারপর সেই ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাঙ্কের নোটিস পাঠানো হয় সংস্থার তৎকালীন চেয়ারম্যান শাকিবকে। নোটিস পেয়ে সুদ-সহ ঋণ শোধের জন্য ব্যাঙ্কে চেক জমা দেন শাকিব। কিন্তু তাঁর সংস্থার অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। এরপরই আইনি পদক্ষেপ নেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এই চেক প্রতারণা মামলায় গত ১৫ ডিসেম্বর শাকিব-সহ সংস্থার চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাঁদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে ১৯ জানুয়ারি দিনটি ধার্য করে শুনানির জন্য।
আদালতের নির্দেশমতো এদিন ‘শাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ সংস্থাটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন শাকিব আল হাসান ও সংস্থার আরেক কর্ণধার গাজি শাহাগির হোসাইন। এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। যদিও শাকিব ঘনিষ্ঠদের দাবি, আওয়ামি লিগের হয়ে ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ার কারণেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারের প্রতি এত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হল এবং এর নেপথ্যে ইউনুস প্রশাসনের হাত রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.