ভারত: ১৭৪/৫ (রাহুল-৫২, শ্রেয়াস-৬২)
বাংলাদেশ: ১৪৪ (নঈম-৮১, মিঠুন-২৭)
৩০ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। রবিবার নাগপুরে ঠিক এমনই মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুই দল। হবে নাই বা কেন। এই ম্যাচের উপরই তো দাঁড়িয়ে ছিল সিরিজের ভাগ্য। একদিকে ভারতীয় তরুণদের নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ আর অন্যদিকে মহম্মুদুল্লাদের ইতিহাস গড়ার অফুরন্ত জেদ। দুয়ে মিলে জমে উঠল লড়াই। আর সেই রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধের মধুরেন সমাপয়েত হল ভারতের জয় দিয়ে। দিল্লিতেও যদি দীপক চাহার-শ্রেয়াস আইয়াররা ঠিক এভাবেই জেতার জন্য নিজেদের উজার করে দিতেন, তাহলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব হত।
প্রথম দুটো ম্যাচ দেখে ক্রিকেটপ্রেমীদের বারবার মনে হয়েছে, রোহিত ব্যর্থ হলেই জয় ফসকে যাবে। কিন্তু সুপার সানডে-তে সেই ধারণা ভেঙে দিলেন দলের তরুণরা। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, জিততে মরিয়া এমন দলকেই তো খুঁজছিলেন সমর্থকরা। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তরুণরাই তো ভরসা। কিন্তু ক্রিকেটে শক্তিধর দেশগুলির অন্যতম হয়ে ওঠা বাংলাদেশের সামনে বারবার তাল কাটছিল তাঁদের। তবে পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে যায়, তখন কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠা সম্ভব, এদিন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন শিবম দুবেরা। পুরনো সব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিলেন তাঁরা। আর রোহিত নির্ভর হয়ে নয়, দলগত দক্ষতাতেই এল কাঙ্খিত জয়।
[আরও পড়ুন: বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে বাড়তে চলেছে সৌরভের মেয়াদ? জোর জল্পনা ক্রিকেট মহলে]
নাগপুরে এদিন দুই অভিজ্ঞ ওপেনার রোহিত ও শিখর ধাওয়ান ব্যর্থ হলে দলের হাল ধরেন কে এল রাহুল এবং শ্রেয়াস। তাঁদের পার্টনারশিপেই বড় রানে পৌঁছে যায় ভারত। ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া মণীশ পাণ্ডে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ঋষভ পন্থের কোনও হেলদোল নেই। কোনও ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না তিনি। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন সফিকুল ইসলাম। ব্যাট হাতে নিরাশ করলেও জোড়া উইকেট তুললেন সৌম্য সরকার (০)। তবে ভাঙাচোরা দল নিয়েও বাংলাদেশ যেভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াই চালিয়ে গেল, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। নঈমের ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকা দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো মিরাকল ঘটাবে বাংলাদেশ। কিন্তু দীপক চাহার নামক ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ।
3rd T20I. It’s all over! India won by 30 runs https://t.co/YFRBxErPUX #IndvBan @Paytm
— BCCI (@BCCI) November 10, 2019
নায়কোচিতভাবে ম্যাচের শেষ তিন বলে উইকেট নেওয়ার হ্যাটট্রিক করে দলকে জিতিয়ে দিলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক-সহ ছয় উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন চাহার। আর ক্যাপ্টেন হিসেবে রোহিতের মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। কথায় বলে, সব ভাল যার শেষ ভাল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে সমর্থকদের ক্ষতে এদিন মলম লাগিয়ে দিল তরুণ টিম ইন্ডিয়া।