সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধোনির অধিনায়কত্বের হাতেখড়ি তাঁর অধীনেই। ২০০৭-এ টিম ইন্ডিয়া টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব পেয়েছিলে তাঁর হাত ধরেই। কথা হচ্ছে লালচাঁদ রাজপুতের। এবার বিরাট কোহলিদের হেড কোচের পদে আবেদন করলেন রাজপুত। আপাতত জিম্বাবোয়ে জাতীয় দলের কোচের পদে কাজ করছেন তিনি। একই সঙ্গে কোচিং করাচ্ছেন কানাডার টি-২০ লিগের একটি দলেও। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ বছর কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজপুতের।
[আরও পড়ুন: ডোপ পরীক্ষায় ফেল, ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা আটমাস নির্বাসিত পৃথ্বীর]
ভারতীয় দলের পরবর্তী হেড কোচ হওয়ার দৌঁড়ে রবি শাস্ত্রী কিছুটা এগিয়ে থাকলেও তাঁকে যে কড়া প্রতিন্দ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কারণ, যারা যারা কোচের পদে আবেদন করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোচও। মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ পদে আবেদনের সময়সীমা। যারা আবেদন করেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম টম মুডি। নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত তোলা কোচ মাইক হেসনের নামও রয়েছে তালিকায়। নাম রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ রবিন সিংয়ের। সেই তালিকাতেই নাম লেখালেন রাজপুত। ভারতীয় দলের হয়ে তাঁর সাফল্য কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। তাই, রাজপুতের আবেদনে কোচের পদে লড়াইটা আরও জমে উঠল।
[আরও পড়ুন: ‘রবিভাই কোচ হলে খুশি হব’, খোলাখুলি শাস্ত্রীকে সমর্থন বিরাটের]
না, তিনি কখনও ভারতের কোচের পদে কাজ করেননি। তবে, ম্যানেজার হিসেবে যে সীমিত সময় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাতে তাঁর সাফল্য চমকে দেওয়ার মতোই। ২০০৭ বিশ্বকাপে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর ভগ্নপ্রায় দলের ম্যানেজরারে দায়িত্ব নিয়েই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেন তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে সেভাবে ভারতকে গুরুত্বই দিচ্ছিল না কেউ। কিন্তু, ধোনির নেতৃত্বাধীন দলই সবাইকে চমকে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজেও সাফল্য পায় ভারত।