সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট হিসাবে যে তিনি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন, সেটা সপ্তাহখানেক আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সোমবার সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, তাতে সরকারিভাবে সিলমোহর পড়ে গেল। প্রত্যেকবার সাধারণত ইডেনেই বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয় সিএবির। তবে এবার তা হল বাইপাসের ধারে এক পাঁচ তারা হোটেলে। আর সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিএবির নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehashish Ganguly)।
সচিব পদে এলেন নরেশ ওঝা। যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী আর সহ সভাপতি হয়েছেন অমলেন্দু বিশ্বাস। অ্যাপেক্স কাউন্সিলে এসেছেন সৃঞ্জয় বোস। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন স্নেহাশিস। বলছিলেন, ‘‘সিএবির প্রেসিডেন্ট হওয়া আমার কাছে প্রচণ্ড সম্মানের, গর্বের। ২০২০ সালে যখন সচিব হলাম, সেটাও আমার কাছে খুব স্পেশাল একটা দিন ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুভূতিটা একদম অন্যরকমের। বাংলা ক্রিকেট নিয়ে আমাদের একটা ভিশন রয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে এগোতে হবে।’’
বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব শেষ করে সিএবিতেই ফিরে আসবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), এমনই ধারনা ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু মহারাজ বলে দেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করবেন না তিনি। বরং সকলকে অবাক করে তিনি ফুটবল প্রশাসনে নতুন ইনিংস শুরু করেন।
সোমবার নতুন সিএবি প্রেসিডেন্ট এটাও জানিয়ে দিলেন, তিনি ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) বাংলায় ফেরানোর চেষ্টা করবেন। সোমবার স্নেহাশিস বলেন, ‘‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, পঙ্কজ রায়ের পর ঋদ্ধিমান সাহা বাংলা থেকে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছে। ও বাংলার গর্ব। আমি চেষ্টা করব ওকে আবার বাংলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। ওর সঙ্গে কথা বলব। তারপর দেখা যাক কী হয়।’’ প্রসঙ্গত, বাংলা ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই মনোমালিন্য ছিল ঋদ্ধিমানের। তারপর জুলাই মাসের প্রথমেই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরার দলে যোগ দেন তিনি। ক্রিকেটার ও মেন্টর- দুই ভূমিকাতেই ঋদ্ধিকে ত্রিপুরা দলে নেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.