Advertisement
Advertisement

Breaking News

পয়েন্ট নিয়ে বিতর্ক, ক্ষুব্ধ দীপার কোচ

প্রতিটি কথার ফাঁকে ঝরে পড়ছে হতাশা৷

dipa and her coach are not satisfied with the result
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 16, 2016 3:29 pm
  • Updated:August 16, 2016 3:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এরই মধ্যে কত কাণ্ড! কখনও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী দীপা কর্মকারের নাম ভুল বলে ফ্যাসাদে পড়েছেন, কখনও বীরেন্দ্র শেহবাগ দীপা, ললিতাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন৷ কিন্তু এসবে কি আদৌ দীপা কর্মকার বা তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বরের আফসোস কমছে? না, একেবারেই না৷ সারা রাত ঘুমোতে পারেননি দীপার কোচ৷ একটাই আফসোস, এত কাছে এসেও সাফল্য ছোঁয়া হল না৷ আরেকটু ভাল করলে…৷

ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়েছেন দীপা৷ তাঁকে ধরার জন্য তখন বাইরে সংবাদমাধ্যমের ভিড়৷ তবে এই প্রথম বোধ হয় দেখা গেল, দীপার মুখে স্বভাবসিদ্ধ হাসি নেই৷ ডাইনিং হলে খেতে যাননি৷ ছাত্রীর জন্য একটা প্লেটে খাবার নিয়ে এসে জোর করে খাইয়েছেন বিশ্বেশ্বর নন্দী৷ ইভেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকে বুঝিয়েছেন, এটা তো প্রথমবার৷ হতেই পারে৷ পরেরবার হবে৷ ভেঙে পড়লে চলবে না৷ দীপা বলছিলেন, “অন্যদের থেকে আমি অনেকটাই পিছিয়ে ছিলাম৷ তবে এতটা যখন পারলাম, আরেকটু ভাল করলেই তো হত! আর সামান্য ভাল করতে পারলেই অন্তত ব্রোঞ্জ আসত৷” তাই আফসোস কিছুতেই যাচ্ছে না৷ মাত্র .১৫০ কম হওয়ায় ব্রোঞ্জ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷

Advertisement

dipa11

Advertisement

আফসোসের পাশে বিতর্কও উস্কে দিয়ে গেলেন কোচ বিশ্বেশ্বর৷ ইভেন্টের শেষে তিনি একজন ম্যানেজারের জন্য সওয়াল করেন৷ ম্যানেজার মারফত একটি অভিযোগ পত্র জমা দেওয়ার কথা বলছিলেন দীপার কোচ৷ বিশ্বেশ্বর মনে করছেন, প্রোদুনভা ভল্টে যে পয়েন্ট তাঁরা আশা করেছিলেন তা পাননি৷ সেসব অবশ্য আর মনে রাখতে চান না ত্রিপুরার স্যর৷ তবে তাঁর মধ্যেও হতাশা এসেছে৷ বলছিলেন, “আমাদের উপর যেন কেউ রাগ না করে! আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি৷”

সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে চাইছিলেন, দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া কী! আসলে তাঁরও তো ছাত্রীর মতোই আফসোস রয়ে গেল৷ আবার চার বছর পর৷ এর মাঝে অনেক বড় বড় যুদ্ধে দীপার মতোই লড়তে করতে হবে তাঁকেও৷ “দীপা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে৷ আমি দেখেছি, গত কয়েক মাসে ভাল করে খেতেও পারেনি মেয়েটা৷ সারাদিন ওর মাথাতে শুধুই জিমন্যাস্টিক্স ঘুরত৷ এভাবে শেষ হবে ভাবিনি৷” প্রতিটি কথার ফাঁকে ঝরে পড়ছে হতাশা৷ ১৬ বছর ধরে দীপাকে নিয়ে পড়ে আছেন৷ রোজ নতুন করে স্বপ্ন দেখেছেন৷ ওলিম্পিকে আসা, ফাইনালে ওঠা, সবই মনে করে আরও কষ্ট পাচ্ছেন দীপা ও তাঁ ১৮ আগস্ট দেশে ফিরছেন তাঁরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ