Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্টবেঙ্গল

শতবর্ষের লাল-হলুদের লজ্জার দিন, নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক হল বেহাল মাঠ

ইচ্ছাকৃতভাবেই জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন রইলেন লাল-হলুদ কর্তারা?

CFL 2019: East Bengal trolled over flooded field, supporters angry
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 29, 2019 8:52 pm
  • Updated:September 30, 2019 2:11 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শতবর্ষের লাল-হলুদ, স্পর্ধার লাল-হলুদ, গর্বের লাল-হলুদ। নিজের প্রিয় ক্লাবের প্রতি এভাবেই সম্মান-শ্রদ্ধা ব্যক্ত করে থাকেন গর্বিত সমর্থকরা। কিন্তু রবিবার যেন কোথায় গিয়ে সেই গর্বে বড়সড় ধাক্কা লাগল। স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো মাথা হেঁট করে দিল সেসব অগণিত ভক্তের। স্টেডিয়ামে ঢোকার রাস্তা থেকে মাঠ ও তার সাইড লাইনে এমনভাবে বৃষ্টির জল জমে রইল যে খেলাই বাতিল করে দিতে হল। এ লজ্জা কোথায় রাখবে ইস্টবেঙ্গল?

[আরও পড়ুন: ‘আপনাদের পরামর্শের প্রয়োজন নেই’, কাশ্মীর নিয়ে পাক ক্রিকেটারদের তোপ ধাওয়ানের]

East Bengal

Advertisement

চারশো কোটির ক্লাব। ঝকঝকে ক্যাফেটেরিয়া থেকে ঝাঁ-চকচকে ড্রেসিংরুম- সবই রয়েছে। স্প্যানিশ কোচ, স্পেনের তারকা ফুটবলার নিয়ে জমকালো দলও তৈরি করেছেন কর্তারা। কিন্তু গোড়াতেই যে গলদ। জলনিকাশি ব্যবস্থা বলে কিছু যে নেই, জল থইথই মাঠই তার প্রমাণ। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও তাই খেলা শুরু করা গেল না কোনওভাবে। অথচ প্রায় একই সময়ে পড়শি মোহনবাগানের মাঠে নির্বিঘ্নেই ৯০ মিনিট খেলা হল। আর তাই এখান থেকে উঠে আসছে একটা প্রশ্ন। তবে কি পিয়ারলেসের খেতাব জয়ের সেলিব্রেশনে জল ঢালতে ইচ্ছাকৃতভাবেই জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন রইলেন লাল-হলুদ কর্তারা? কারণ, ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলই ছিল ২০ পয়েন্টে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে ছিল পিয়ারলেস।

Advertisement

East Bengal

এদিন পিয়ারলেস জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত। তবে ইস্টবেঙ্গল যদি অন্তত ৬-০ গোলে কাস্টমসকে হারাতে পারত, তবে ইস্টবেঙ্গলের খেতাব জয়ের সম্ভাবনাও ছিল। সেই জন্যই এদিন একই সময়ে দুটি ম্যাচ রাখা হয়েছিল। বারাসতে জর্জকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেন ক্রোমারা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ বাতিল হওয়ায় মন খুলে সেলিব্রেট করতে পারলেন না জহর দাসের ছেলেরা।

East Bengal

[আরও পড়ুন: মাঠ না পুকুর! জল জমায় বাতিল ইস্টবেঙ্গল-কাস্টমস ম্যাচ]

East Bengal

ছুটির দিনে ইস্টবেঙ্গল মাঠে খেলা দেখতে এসেও ফিরে যেতে হয় সমর্থকদের। যার জন্য ক্ষুব্ধ তাঁরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ক্লাবকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এদিকে আবার এই সুযোগে লাল-হলুদকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না মোহনবাগান সমর্থকরাও। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলকে ট্রোল করে তৈরি হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু মিম। শতবর্ষের ক্লাবকে যে এভাবে লজ্জা আর হতাশায় ডুবতে হবে, কে ভেবেছিল? বুকে বারুদ জমেই রইল, শুধু মশাল জ্বলল না। বাতিল ম্যাচ আয়োজিত হবে ২ অক্টোবর। কাস্টসমের বিরুদ্ধে সেদিন ইস্টবেঙ্গল মিরাকল করতে পারবে কি? কিংবা জিতে অন্তত রানার্স-আপ হিসেবে শেষ করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ