Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোহনবাগান

আই লিগে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ‘সেকেন্ড বয়’ পাঞ্জাব, ডিকাকে আটকাতে মরিয়া কিবু

আজ জিতলে লিগের আরও কাছে পৌছে যাবে সবুজ-মেরুন শিবির।

I League 2019-20: Mohun Bagan to face Punjab FC
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 9, 2020 2:08 pm
  • Updated:February 9, 2020 2:08 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ডিকাকে নিয়ে নিশ্চয় আপনার বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে? প্রশ্ন শুনে একটু সময় নিলেন। তারপর কণ্ঠস্বর নামিয়ে বলতে লাগলেন ভিকুনা (Kibu Vicuña), “আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ওকে তো সম্মান করতেই হবে। এর বেশি কিছু ডিকাকে নিয়ে বলব না। তবে আমার কাছে পাঞ্জাব এফসি দলটাই শ্রদ্ধার। যারা এই মুহূর্তে লিগের দ্বিতীয় স্থানে আছে। তাদের নিয়ে তো আলাদা করে ভাবতেই হবে।” কথাগুলো বলার জন্য বললেন না ভিকুনা। শরীরী ভাষায় স্পষ্ট ধরা পড়ছিল, ডিকা নিয়ে সামান্য হলেও চিন্তায়। হবে নাই-বা কেন? শুধু আটটা গোল দিয়ে তিনি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন তাই নয়, মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রাক্তন ফুটবলারও। শত্রু শিবিরের যাবতীয় নথি তাঁর নখদর্পণে। তার উপর তাঁর দলে ড্যানিয়েল চোটের কারণে বাইরে। ফ্রান মোরান্তার সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন ফ্রান গঞ্জালেজকে। এতে সমস্যায় পড়ছে মাঝমাঠ। গঞ্জালেজ ডিফেন্সের উপর চাপ পড়ার আগে সামাল দিতেন। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ছ’টা গোল, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই পাঞ্জাব এফসির গোলমেশিনকে রুখতে গিয়ে নিজের দলের দফারফা অবস্থা। তাই বলে বিশেষ চিন্তিত নন।
MB
লিগ টেবিলের শীর্ষে, ঘরের মাঠ, প্রত্যাশার চাপ তুঙ্গে, সবমিলিয়ে চাপের পাহাড়ে বসে মোহনবাগান। আজ কল্যাণীতে না জিতলে বিশেষ ক্ষতি হয়তো হবে না। কিন্তু জিতে গেলে মোহনবাগান চলে যাবে অনেকটা লক্ষ্যের কাছাকাছি। ভিকুনাও জানেন। “প্রত্যেকটা ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ খেলা বলতে হয়। তবে এটা বাস্তব, সত্যি এই ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম। যেভাবেই হোক তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে।” মোহনবাগান আজ তিন পয়েন্ট পেলে পাঞ্জাব এফসির থেকে ব্যবধান হবে ন’পয়েন্টের। তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হতে বাধ্য।

[আরও পড়ুন: ওড়িশাকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ শীর্ষে এটিকে, নিশ্চিত শেষ চারে খেলা]

পাঞ্জাব এফসির কোচ ইয়ান ল ভালমতো জানেন, তাঁদের কাছে এই ম্যাচে জেতাটা কত জরুরি। শুরুর দিকে হোঁচট খেলেও এখন দলটা ছুটছে। কলকাতায় খেলে যাওয়া ইয়ান ল এও বুঝেছেন, মোহনবাগানের পোক্ত ফরোয়ার্ড লাইনের পাশে ডিফেন্স নড়বড়ে। গত ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে ৩ গোল দিয়ে দু’গোল খাওয়া বড় দৃষ্টান্ত। তাই ভিকুনার যাবতীয় মাথাব্যথা ডিফেন্স। শনিবার মিডিয়ার সামনে বেইতিয়াকে নিয়ে এসেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। মোহনবাগানের মাঝমাঠ শুধু ভরসা দেন না, দলের মূল কান্ডারিও বেইতিয়া। তাঁর কথাতেও বাবার সম্পর্কে বিশেষ সম্মান ধরা পড়ছিল। “জানবেন, ৫-৬ বছর লা লিগায় খেলা ফুটবলার। তাই বাবাকে সাহায্য করাই আমার কাজ। ওকে যদি ঠিকঠাকভাবে বল দেওয়া যায় তাহলে কাজের কাজ করে চলে যাবে।” মনে হচ্ছিল, কেন মোহনবাগান লিগ টেবিলের শীর্ষে। ফুটবল যে একজন নয়, এগারোজনের খেলা, তা বেইতিয়ার কথাতেই স্পষ্ট। সেইজন্য এই দলকে রোখা মুশকিল।

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ