Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্টবেঙ্গল

ত্রাতা হুয়ান মেরা, শেষলগ্নের গোলে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মানরক্ষা ইস্টবেঙ্গলের

ক্লান্তির ছাপ বারবার চোখে পড়ল ফুটবলারদের শরীরী ভাষায়।

I League 2019: East Bengal- Minerva Punjab FC match ends in a draw
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 7, 2019 4:11 pm
  • Updated:December 7, 2019 4:11 pm

মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি- ১ (ড্যানিলো)
ইস্টবেঙ্গল এফসি- ১ (হুয়ান মেরা)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন রিয়েল কাশ্মীর ম্যাচের অ্যাকশন রিপ্লে। হারতে হারতে ফের ম্যাচ বাঁচাল ইস্টবেঙ্গল। গত বুধবার ঘরের মাঠে লাল-হলুদ শিবিরের ত্রাতা ছিলেন মার্কোস গিমিনেজ। শনিবার লুধিয়ানায় দলকে বাঁচালেন হুয়ান মেরা। ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল করে মিনার্ভা পাঞ্জাবের জয় রুখে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। আর গোল করার পর তাঁদের উচ্ছ্বাস দেখলে কে বলবে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার বিশ্রাম নিয়ে এই ম্যাচে খেলতে নেমেছে দল। এদিনের খেলার ফলাফল ১-১।

Advertisement

ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল শিরোনামে আসে অন্য কারণে। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের চূড়ান্ত অপেশাদারিত্বের শিকার ফুটবলাররা। এর আগেও ইস্টবেঙ্গল পাঞ্জাবে খেলতে গিয়েছে। কিন্তু ফুটবলারদের কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না সমর্থকরা। এরকম পরিস্থিতিতে সব সময় ম্যাচের দু’দিন আগে পাঞ্জাব পৌঁছেছে ইস্টবেঙ্গল। দিল্লি থেকে সরাসরি বিমানে চণ্ডীগড়। কিন্তু এবার কোয়েস ইস্টবেঙ্গল দিল্লি থেকে লুধিয়ানা যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা রেখেছিল ট্রেনের। তা মিস করায় শেষে বাসে করে মাঝরাতে টিম হোটেলে পৌঁছন ফুটবলাররা। যা নিয়ে কোচ আলেজান্দ্রো থেকে ফুটবলার, প্রত্যেকেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় বিশ্রাম ছাড়াই পরেরদিন দুপুরে ম্যাচ খেলতে নামতে হচ্ছে তা এককথায় অকল্পনীয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চরম অপেশাদারিত্বে নাজেহাল কোলাডোরা, মধ্যরাতে লুধিয়ানা পৌঁছে আজ নামছে ইস্টবেঙ্গল]

এদিন কোলাডোদের খেলাতেও তা ফুটে ওঠে স্পষ্ট। কোনওরকমে যেন শরীরটাকে টেনে নিয়ে খেলছিলেন ফুটবলাররা। ক্লান্তির ছাপ ফুটবলারদের শরীরী ভাষায়। ম্যানেজমেন্টের উপর ক্ষুব্ধ কোচ বলেছিলেন, “ফুটবলাররা যদি খেলার আগে বিশ্রাম না পায় তাহলে পারফরম্যান্স করবে কী করে? সবকিছুর আয়োজন ঠিকভাবে করা উচিত ছিল।” এদিন ম্যাচের ১২ মিনিটে গোল পেয়ে যায় পাঞ্জাব। ড্যানিলো কুইপাপার গলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। তারপর ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্ত গোলশোধ করতে ব্যর্থ হন কোলাডোরা। কিন্তু যখন মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে ম্যাচ কার্যত বেরিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সময়ে অচম্বিতে গোল হুয়ান মেরার। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের শট জালে জড়িয়ে যেতেই চাগিয়ে ওঠে ক্লান্ত ইস্টবেঙ্গল শিবির। গুরু নানক স্টেডিয়ামে জনা ২০-৩০ লাল-হলুদ সমর্থকের ধড়ে যেন প্রাণ এল। তারপর পাঞ্জাব তেড়েফুঁড়ে খেললেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। খেলা শেষ হয় ১-১ স্কোরে।

লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও হার বাঁচাল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু যা অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে ফুটবলাররা গিয়েছেন. ম্যাচের ফল কিছুটা হলেও সেই ক্ষতে প্রলেপ দেবে বলে মনে করছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ