অস্ট্রেলিয়া: ৩৬৯ ও ২৯৪ (স্মিথ ৫৫, লাবুশানে ৪৮, সিরাজ ৫/৭৩, শার্দুল ৪/৬১)
ভারত: ৩৩৬ ও ৪/০ (রোহিত ৪*, গিল ০*)
চতুর্থ দিনের খেলা শেষ।
জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৩২৪ রান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শামি-উমেশ-বুমরাহ-অশ্বিন-ইশান্ত-দলের সেরা বোলাররা চোটের জন্য কেউ নেই। তা সত্ত্বেও ব্রিসবেনে দুরন্ত পারফরম্যান্স ভারতীয় বোলারদের। সিরাজ-শার্দুলদের দাপটে ২৯৪ রানেই শেষ হয়ে গেল অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস। এর ফলে গাব্বা টেস্টে জয়ের জন্য ভারতের সামনে ৩২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিলেন টিম পেইনরা (প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানের লিড পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া)। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের রান বিনা উইকেটে চার। হাতে গোটা একটা দিন। বাকি ৩২৪ রান। তবে বৃষ্টিতে এদিনও ম্যাচের বেশ কয়েক ওভার নষ্ট হল।
চোটের কারণে দলের প্রথম সারির একাধিক পেসার নেই। এই সফরেই টেস্টে অভিষেক হয়েছে মহম্মদ সিরাজ, নভদীপ সাইনি, টি নটরাজনের। কিন্তু প্রত্যাশার থেকেও অনেক ভাল বোলিং করেছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) পেসাররা। গাব্বায় অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে কার্যত ভেঙে দলেন সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুরই। ৩০০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারলেন না স্মিথরা। সিরাজ এই প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন। অন্যদিকে, শার্দুল নিলেন ৪টি উইকেট। সুন্দর একটি উইকেট পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ১২ দিনে খেলতে হবে চারটি ম্যাচ, চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে নামার আগে সূচি নিয়ে ক্ষোভ ফাউলারের]
এদিন বিনা উইকেটে ২১ রান থেকে খেলা শুরু করেন দুই অজি ওপেনার মার্কাস হ্যারিস এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দু’জনে মিলে প্রথম উইকেটে ৮৯ রান যোগ করেন। এই জুটি শেষপর্যন্ত ভাঙেন শার্দুলই। ৩৮ রান করে আউট হন হ্যারিস। এরপর ওয়ার্নারকে (৪৮) আউট করেন সুন্দর। পরবর্তীতে লাবুশানে (২৫), ওয়েড (০) এবং স্মিথের (৫৫) উইকেট নেন সিরাজ। শেষপর্যন্ত ২৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় অজিরা। শার্দুল পান চারটি উইকেট। এসবের মাঝেই শিরোনামে উঠে এলেন আবার রোহিত শর্মা। সিডনিতে পন্থের ব্যাটিংয়ের সময় যে কাজ করেছিলেন স্মিথ, সেটাই এদিন করেন রোহিত। ক্রিজের মধ্যে দাঁড়িয়েই শ্যাডো করতে থাকেন। স্মিথকে যোগ্য জবাব, এমনটাই মন্তব্যও করেছেন নেটিজেনরা।
তবে এদিনও বৃষ্টির কারণে একাধিক ওভার নষ্ট হল। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে দু’ওভারও ব্যাটিং করতে পারেননি রোহিতরা। এখন দেখার পঞ্চম দিনে কত ওভার খেলা হয়। পাশাপাশি গাব্বায় ৩১ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকে কি না সেদিকেও নজর থাকবে।