সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জনে একসঙ্গে বহুদিন জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। সেরা ওপেনিং জুটির তালিকা তৈরি হলে উপরের দিকেই থাকবে শচীন তেণ্ডুলকর-বীরেন্দ্র শেহবাগের নাম। বাইশ গজে সবসময় মাস্টার ব্লাস্টারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বীরু। দু’জনেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও শচীনের প্রতি একইরকম সম্মান প্রদান করে থাকেন ‘নজফগড়ের নবাব’। ফের একবার সেটাই প্রমাণ করলেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শেহবাগ বলেন, নিজের নাম বদলে শচীন তেণ্ডুলকরের নাম পেতে চান তিনি। পাশাপাশি মাস্টার ব্লাস্টারকে ভগবানের সঙ্গেও তুলনা করেন।
[মুকুল রায়ের নতুল দলেই কি এবার ঋতব্রত?]
শেহবাগের কথায়, ‘সম্ভব হলে আমি শচীন তেণ্ডুলকরের নামটা নিয়ে নিতাম। শচীনের নামের পাশে অনেক রেকর্ড রয়েছে। আমি মাস্টার ব্লাস্টারের ধারে কাছে নেই। শচীনকে ক্রিকেটের ‘ভগবান’ বলে ডাকা হয়, আর এই নশ্বর জীবনে ভগবান হতে কে না চায়।’ বরাবরই মুখের উপরে সত্যি কথা বলার জন্য পরিচিতি রয়েছে শেহবাগের। এই সাক্ষাৎকারেই তাই ভারতীয় দলের কোচ নির্বাচনের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বীরু। তাঁর প্রথম অভিযোগ, ভারতীয় দলের কোচ নিয়োগের ক্ষমতা যাঁদের হাতে তাঁদের সঙ্গে তাঁর কোনও ‘সেটিং’ ছিল না। তাই তিনি বিরাট কোহলিদের কোচ হতে পারেননি! “দেখিয়ে ম্যায় কোচ ইসিলিয়ে নেহি বন পায়া কিউকি জো ভি কোচ চুন রাহে থে উনসে মেরা কোই সেটিং নেহি থা।” শুধু এখানেই থামেননি শেহবাগ। রীতিমতো নাম করে বলেছেন, “আমি কখনও ভারতীয় দলকে কোচিং করানোর কথা ভাবিনি। বরং আমাকে এই কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড সচিব অমিতাভ চৌধুরী আর জিএম (গেম ডেভেলপমেন্ট) এমভি শ্রীধর আমার কাছে এসেছিলেন। বলেছিলেন আমি প্রস্তাবটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। তারপর কিছুদিন ভেবে ওই পদে অ্যাপ্লাই করি।”
[লন্ডনে টিউব রেলে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার আইএসের]
এরপরই তুলে আনেন অধিনায়ক বিরাট কোহলির নাম। জানান আবেদন করার আগে বিরাটের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। “অ্যাপ্লাই করার আগে বিরাটের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছিলাম আমি। ও তখন বলেছিল, হ্যাঁ, বীরুভাই অ্যাপ্লাই করো। একমাত্র তারপরই আমি বোর্ডে নিজের আবেদনপত্র পাঠাই। আপনারা যদি সেইসময়ও আমার নিজের মতামত জানতে চাইতেন, আমি হয়তো বলতাম, আমি এই কাজে কোনওদিন আগ্রহী ছিলাম না।” বলেন শেহবাগ। সঙ্গে যোগ করেন, “আমি ভেবেছিলাম এরা সব যখন আমাকে অনুরোধ করছে, আমার উচিত ওদের সাহায্য করা। নিজে থেকে আমি কখনও এই পদে অ্যাপ্লাই করার ভাবিনি। এবং আজ স্পষ্ট ভাবে বলে দিচ্ছি, ভবিষ্যতে আর কোনওদিন ভারতীয় দলের কোচের পদের জন্য আবেদন করব না।”
[বিরাটদের মতো জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মিতালিরা]
এরপরই শেহবাগ আসল বোমাটা ফাটান। এই বিতর্কে টেনে আনেন বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রীর নাম। শেহবাগের দাবি, শাস্ত্রী তাঁকে প্রাথমিকস্তরে বলেছিলেন, তিনি আবেদন করছেন না। শেহবাগের কথায়, রবির ‘আসল ইচ্ছা’র কথা জানলে তিনি নিজের নাম এই দৌড়ে লেখাতেন না। “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যখন ইংল্যান্ডে ছিলাম, সেইসময় রবিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তুই কোচের চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করছিস না কেন? উত্তরে তখন রবি বলেছিল, ও যে ভুল একবার করে ফেলেছে, সেটা আর করবে না।” এর সঙ্গেই যোগ করেন, “আরে রবি যদি আরও আগে অ্যাপ্লাই করত, তাহলে আমার মনে হয় না আমিও একই চাকরির জন্য আবেদন করতাম বলে। মনে করা কেন? করতামই না!”