সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পকসো আইনে ((POCSO Act) মামলা করা হয়েছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এদিন বিশেষ পরিস্থিতিতে সেই মামলা খারিজ করে দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। কারণ প্রাপ্তবয়স্ক হতেই অভিযুক্ত যুবককে বিয়ে করে মেয়েটি। এই অবস্থায় বর্তমান মামলার বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। ১৭ বছরের মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, এই দাবি করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কর্ণাটকের (Karnataka) এক বাসিন্দা। ঘটনার তদন্তে নেমে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় নাবালিকার সঙ্গে থাকা ২৩ বছরের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও উভয়ের দাবি ছিল, তাঁরা স্বেচ্ছায় একসঙ্গে ঘরছাড়া হয়। এরপরেও নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দায়রা আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চালাকালীন ১৮ মাস জেলবন্দি ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। যদিও মেয়েটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তাঁর সম্মতির ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্ক করেছিলেন অভিযুক্ত। অবশেষে ২০২০ সালের নভেম্বরে জামিন পান যুবক। এরপরেই ঘটনা নতুন বাঁক নেয়। ইতিমধ্যে ১৮ বছর বয়স হয়েছিল মেয়েটির। যার পর অভিযুক্ত যুবককেই বিয়ে করেন নাবালিকা। পরবর্তীকালে তাঁদের একটি সন্তান হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা খারিজ করেছেন কর্ণাটক হাই কোর্টের বিচারপতি। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, ওই যুগল বর্তমানে বিবাহিত। তাঁরা সন্তান প্রতিপালনও করছেন। ফলে এই শুনানি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্র আইনের অপপ্রয়োগ হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে হাই কোর্টে এই মামলা খারিজ করার আবেদন জানান দম্পতি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে যুবকের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.