রাজা দাস, বালুরঘাট: বুধবার সাতসকালে আত্রেয়ী নদীর ঘাটে ভেসে উঠল এক পুলিশকর্মীর মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাট এলাকায়। মৃত পুলিশকর্মীর নাম বাবুন হেলা। বয়স ৩৫। স্থানীয়দের দাবি, সাঁতারে খুবই দক্ষ বাবুন। নিয়মিত সাঁতরে নদী পারাপার করতে অভ্যস্ত ছিলেন। জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হতেই পারে না।
[গলায় ফাঁস লাগানোর ছবি স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে আত্মঘাতী স্বামী]
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আত্রেয়ী নদীর পাশেই বাড়ি বাবুন হেলার। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন তিনি। বছর চারেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। একটি কন্যাও রয়েছে। তবে কন্যাকে নিয়ে কলকাতায় বাপের বাড়িতেই থাকেন স্ত্রী। কয়েক দিন আগেই ছুটি কাটাতে বালুরঘাটে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন পুলিশকর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বেলা দশটা নাগাদ আত্রেয়ী নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন বাবুন। ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু পরে আবার বেরিয়ে যান। রাতে বাড়ি ফেরেননি।
[বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সংঘর্ষের ছবি, বিতর্ক তুঙ্গে]
সারা রাত বাবুনের খোঁজ করেন দাদা-বৌদরা। খোঁজ শেষ হয় সকালে। বাবুনের মৃতদেহ আত্রেয়ী নদীর ঘাটের কাছে ভেসে উঠতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতদেহের নাক থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। অনুমান করা হচ্ছে, জলে ডোবার কারণেই নাক থেকে রক্তপাত করা হতে পারে। তবে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জলে ডুবে মৃত্যুর এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। সকলের দাবি, খুবই ভাল সাঁতার জানতেন বাবুন। সাঁতরে নদীর পারাপার করতে পারতেন অনায়াসে। এমন মানুষের এভাবে জলে ডুবে মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
[কটূক্তির প্রতিবাদে চড়াও, কিশোরীর পাঞ্চে ধরাশায়ী ৫ ‘বীরপুরুষ’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.