Advertisement
Advertisement

পুজোর শহরে মুক্তির স্বাদ দেবে ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতি

শিল্পী সঞ্জবী সাহার সৃজনে গড়ে উঠছে মণ্ডপ।

Puja 2018: Wellington Nagarik Kalyan Samity to depict taste of freedom in pandal
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 30, 2018 2:57 pm
  • Updated:September 30, 2018 2:57 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতির পুজো প্রস্তুতি৷

রোহন দে: নীল আকাশে কেউ খোঁজে মুক্তির স্বাদ, কেউবা ঘুড়ি ওড়ানোতে। অন্ধকানাই গান গেয়ে খোঁজে মুক্তির পথ। সেই মুক্তির পথই এবার পুজোয় খুঁজতে চেয়েছে ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যান সমিতি। মণ্ডপসজ্জায় নাগরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির স্বাদ দিতে কোমর বাঁধছে মধ্য কলকাতার এই হেভিওয়েট পুজো। এবছর তাদের থিম ‘মুক্তি’। মুক্তির কত পথ মুক্তির কত রং। কেউ চায় নীল আকাশে মুক্তি আবার কেউ চায় অসংখ্য বন্ধন মাঝে মুক্তির স্বাদ। আর এর মধ্যেই তো লুকিয়ে আছে মুক্তির আনন্দ।

Advertisement

Advertisement

‘মুক্তি’ ছোট্ট একটা শব্দ কিন্তু ভাব বিশাল। জীবনের এই ছোট্ট খাঁচা থেকেই মুক্তির জন্য ছটফটিয়ে উঠছে আমাদের জীবন। খাঁচার পাখি তাই তো বনের পাখির কাছে যেতে চায়। আর সেইসঙ্গে পেতে চায় নীল আকাশে মুক্তির আস্বাদ। আর সেই মুক্তির কথাই এবার বলতে চাইছেন শিল্পী সঞ্জীব সাহা। যিনি এবার ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যান সমিতির থিমের দায়িত্বে। খাঁচার আদলে তৈরি করা হচ্ছে গোটা মণ্ডপ। একটি বড় খাঁচার পাশাপাশি আরও দুটি মাঝারি মাপের খাঁচা থাকছে মণ্ডপে। খাঁচাগুলির ভিতরে পরি, পাখি থেকে কোথাও কাগজের ফুল ও লোহার ফুল শোভা পাবে।

[জীবনে ওঠানামার ‘আবর্ত’-এর কাহিনি এবার হিন্দুস্থান পার্কের পুজোয়]

মুক্তির কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। সবাই নিজের মতো করেই মুক্তির পথ খঁজছে এই বিশ্ব সংসারে। মুক্তির খোঁজে দিশেহারা মানুষ। সবাই চাইছে মুক্তির স্বাদ। নিজেদের সাময়িক সুখের জন্য বহু মানুষই পাখিকে খাঁচায় বন্ধ করে রাখে। কিন্তু পাখি চায় আকাশে উড়ে বেড়াতে। আবার ঠিক একই ভাবে মানুষকেও দিনের পর দিন ঘরে বন্ধ করে রাখলে সেও চাইবে মুক্তি। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শিল্পী নবকুমার পালের হাতের ছোঁয়ায় সেজে উঠবে এখানকার মাতৃপ্রতিমা। এখানে প্রতিমায় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট থাকবে, তা হল মায়ের হাতে থাকবে একটি পাখি। মুক্তি লাভের আশায় পাখিটি আশ্রয় নিয়েছে মায়ের কাছে। আবহ হিসেবে ময়ূখ-মৈনাকের কণ্ঠে লোকগীতি ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ গানটিই শোনা যাবে গোটা মণ্ডপে।

প্রতিবারের মতো এবারও উদ্যোক্তাদের আশা তাদের এই অভিনব থিম দর্শনার্থীদেরও ভাল লাগবে। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে পরাধীনতার নিদারুণ যন্ত্রণা আর শৃঙ্খল থেকে দুর্বলকে মুক্তি দিয়ে সকলের বিবেককে জাগ্রত করাই লক্ষ্য।

[এবার পুজোয় আহিরীটোলার রাজবাড়িতে ‘অঞ্জলি’র প্রস্তুতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ