Advertisement
Advertisement
পরিচারিকাকে খুন

ভুলবশত উড়ল পোষা টিয়া, পাকিস্তানে ৮ বছর বয়সি পরিচারিকাকে পিটিয়ে খুন দম্পতির

ঘটনা জানাজানির পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন প্রায় সকলেই।

8-yr-old domestic help beaten to death in Pakistan for releasing pet parrots

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 4, 2020 4:20 pm
  • Updated:June 4, 2020 6:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অপরাধ’ বলতে খাঁচা পরিষ্কার করতে গিয়ে তার চোখের সামনে দিয়েই উড়ে যায় পোষা টিয়া পাখি। তার ফলে মাত্র আট বছর বয়সি পরিচারিকাকে পিটিয়ে খুন করল এক দম্পতি। শিশুশ্রম এবং বর্বরতার ছবির সাক্ষী পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডি। অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত ৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে তাদের। ঘৃণ্য অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা।

বছরখানেকের সন্তানকে নিয়ে রাওয়ালপিণ্ডিতে বাস ওই দম্পতির। স্বামী, স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও বাড়িতে ছিল পোষা টিয়া পাখি। খাঁচাবন্দি পোষ্য ওই পাখি যেন দম্পতির সন্তানতুল্য। এক ছোট্ট সন্তান আর অন্যদিকে পাখি, দু’জনের দেখভালের জন্য মাসচারেক আগেই ওই দম্পতি জাহেরা নামে বছর আটেকের শিশুকে পরিচারিকা হিসাবে বাড়িতে আনে। শিশুর পাশাপাশি টিয়া পাখিকেও দেখে শুনে রাখত জাহেরা। দিনকয়েক আগে পাখির খাঁচা পরিষ্কার করছিল সে। খাঁচার দরজা ছিল খোলা। সেই সুযোগে খাঁচা থেকে বেরিয়ে উড়ে যায় সাধের টিয়াপাখি। পোষ্য উড়ে যাওয়ায় অত্যন্ত দুঃখ পায় দম্পতি। রাগে, দুঃখে তখন মেজাজ চড়ে সপ্তমে। অভিযোগ, ছোট্ট পরিচারিকার উপর পাখিকে উড়িয়ে দেওয়ার দোষারোপ করে তারা। আট বছর বয়সি পরিচারিকাকে এই ‘অপরাধে’ বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে দম্পতি। গত রবিবার অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেগম আখতার রুকসানা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভরতি করা হয় শিশু পরিচারিকাকে। সেখানেই মারা যায় সে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুমেরুতে নদীর জল লালচে! অশনি সংকেত পেয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের]

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে ভরতির সময় জাহেরার মুখ, হাত, পাঁজর এবং পায়ে ক্ষত ছিল। যৌন হেনস্তার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। পরিচারিকার ব্যবহৃত জিনিসপত্র ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। মৃতার পরিবারের দাবি, ওই দম্পতি সন্তানের দেখভাল করার জন্য জাহেরাকে কাজে নেয়। আট বছর বয়সি শিশুকে দিয়ে কাজ করানোর পরিবর্তে তার পড়াশোনার খরচ চালানোর দায়িত্ব নেয় দম্পতি। তবে  সে কথা তারা রাখেনি বলেই অভিযোগ জাহেরার পরিজনদের। পরিচারিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। আগামী ৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে তাদের। ঘৃণ্য অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ওই দম্পতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব প্রায় সকলেই। কেন একটি শিশুকে পরিচারিকা হিসাবে ওই দম্পতি কাজে নিল, উঠছে সেই প্রশ্ন। ওই দম্পতির কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রত্যেকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শতাব্দী প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শন ধ্বংস পাক অধীকৃত কাশ্মীরে, তীব্র নিন্দা ভারতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ