BREAKING NEWS

১৮ চৈত্র  ১৪২৯  শনিবার ১ এপ্রিল ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

চিনের দখলদারি চলবে না, বার্তা দিয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে মহড়া মার্কিন রণতরীর

Published by: Anwesha Adhikary |    Posted: August 28, 2022 1:09 pm|    Updated: August 28, 2022 1:42 pm

Amidst China threat, two USA warships transit in Taiwan Strait | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানকে (Taiwan) ঘিরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চিন (China)। তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেজিং। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই রবিবার তাইওয়ান প্রণালীতে দু’টি রণতরী পাঠাল মার্কিন নৌসেনা। সঙ্গে স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছে ওয়াশিংটন। জানিয়ে দেওয়া হল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে দখলমুক্ত রাখা তাদের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। পরোক্ষে চিনের উদ্দেশ্যেই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। একই সঙ্গে মার্কিন নৌসেনা প্রধান জানিয়েছেন, চিনকে আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ভারত।

দুই রণতরীর সফরকে ‘রুটিন’ বলে দাবি করা হয়েছে মার্কিন নৌসেনার তরফে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তাইওয়ান প্রণালীতে (Taiwan Strait) রণতরী চালানো হয়েছে। কোনও স্বাধীন দেশের জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেনি এই রণতরীগুলি। রবিবার মার্কিন নৌসেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “অ্যান্টিটাম এবং চ্যান্সেলর্সভাইল নামে দু’টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে সফর করে এসেছে। প্রত্যেকটি দেশের জলসীমা এড়িয়ে আন্তর্জাতিক জলপথ অনুসরণ করেই রণতরী চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেখানে মার্কিন সেনাবাহিনী (US) কাজ করতে পারে, সেই রকম জায়গাগুলিতেই আমরা জাহাজ চালিয়েছি।”

[আরও পড়ুন: ধুলোয় ঢাকতে পারে গোটা এলাকা, নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসে আর কী প্রভাব পড়বে আশপাশে?]

অন্যদিকে মার্কিন নৌসেনার প্রধান মাইক গিল্ডে একটি আলোচনাসভায় বলেছেন, চিনকে আটকাতে আমেরিকার সহযোগী হতে পারে ভারত। শনিবার গিল্ডে বলেছেন, “বিদেশ সফরের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি ভারতে। কারণ আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছবে। চিনকে আটকাতেও ভারতের ভূমিকা খুবই উপযোগী হবে।” প্রসঙ্গত, তাইওয়ান প্রণালী এবং দক্ষিণ চিন সাগরে চিনবিরোধী দেশগুলি নৌ চলাচল বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলপথের উপরে কারও অধিকার নেই। সেখানে সব দেশই জাহাজ চালাতে পারে। এহেন পদক্ষেপের ফলে চিনের রাগ আরও বাড়ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরেই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চিন-তাইওয়ান সম্পর্ক। চিনের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে আমেরিকা, এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। চিনের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে একের পর এক মার্কিন সাংসদ তাইওয়ানে সফর করেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন রণতরীর সফরের পরে চিনের পালটা পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।

[আরও পড়ুন:পাক মহারণের আগে বাড়তি অক্সিজেন ভারতীয় শিবিরে, করোনামুক্ত হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন দ্রাবিড়]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে