Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্ত্রাস-উগ্রপন্থাকে ছুড়ে ফেলে গণতন্ত্রেই আস্থা পাক নাগরিকদের

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কি এবার ভাল হবে?

Boosting democracy Pakistan rejects Ultra radical forces
Published by: Saroj Darbar
  • Posted:July 26, 2018 6:44 pm
  • Updated:July 26, 2018 9:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্র কি ফিরবে পাকিস্তানে? নাকি উগ্রপন্থী আর সন্ত্রাসরাজ প্রতিষ্ঠা হবে প্রতিবেশী ভূমিতে? পাক নির্বাচনের আগে এইদিকেই নজর ছিল ভারতের। বলা ভাল, গোটা বিশ্বই এদিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু ফলাফল বলছে, উগ্রপন্থাকে চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পাক নাগরিকরা। গণতন্ত্রের পক্ষে যা সুস্থ লক্ষণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ইমরান খানের পাক প্রধানমন্ত্রী হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও এখনও ত্রিশঙ্কু সরকারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকা ইমরান সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর ভবিষ্যতের কর্মসূচি ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। সফল ক্রিকেটার থেকে প্লে-বয়, সেখান থেকে পাকিস্তানের মসনদে বসা- এ কৃতিত্ব নিয়ে আলাদা করে ইমরান খান দুনিয়ার কুর্নিশ আদায় করবেন। তা ঠিকই। তবে প্রকৃত অর্থে এ কুর্নিশ পাওয়ার কথা পাক নাগরিকদের। এবারের নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে ছিল একধিক জঙ্গি সংগঠন। হাফিজ সইদের মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গিরাও নির্বাচনকে প্রতক্ষ্যভাবে প্রভাবিত করছিল। অর্থবল এবং লোকবল কোনওটাই কম ছিল না তাদের। আর প্রভাব প্রতিপত্তি এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখে জনগণকে কবজা করে রাখা তো আছেই। কিন্তু সে ভয় ছুড়ে ফেলে পাক নাগরিকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন এই উগ্রপন্থীদের।

Advertisement

পাক রাজনীতিতে নবজন্ম ইমরানের, সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে পিটিআই ]

Advertisement

হাফিজ সইদ নিজে এবারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কোমর বেঁধে উঠেপড়ে লেগেছিল। তার ছেলে হাফিজ তালহা সইদ ভোটে দাঁড়িয়েওছিল। হাফিজ নিজে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, কোনও প্রচারেই কোনও কাজ হয়নি। তেহরিক-ই-লাবাইক নামে সুন্নি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও আল্লাহ-আকবর-তেহরিক গোষ্ঠী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ভোটের আগে এই গোষ্ঠীগুলির অংশগ্রহণ গোটা বিশ্বের কাছেই ছিল অশনিসংকেত। মনে করা হচ্ছিল যদি উগ্রপন্থা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে ক্ষমতা দখল করে, তবে আরও খারাপ হবে পাকিস্তানের অবস্থা। প্রভাব পড়বে বিদেশনীতিতেও। যার প্রতক্ষ্য প্রভাব পড়বে ভারতের উপর। এদিকে ভারতের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কের ভিত্তিতে বদলে যেতে পারত আন্তর্জাতিক সমীকরণও। সেক্ষেত্রে গোটা বিশ্বকেই অভূতপূর্ব কিছু রাজনীতিক সংকটের মুখোমুখি হতে হত। পাক নাগরিকরাও এ কথা ভাল জানতেন। তাই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত হতে দেননি তাঁরা। ইমরানের এগিয়ে থাকা তাই প্রকৃত অর্থে পাক নাগরিকদের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার জয়।

[  রেস্তরাঁয় জন্ম, শিশুকন্যাকে আজীবন বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণা কর্তৃপক্ষের ]

যে কোনও পাক সরকারই এখনও পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে কট্টর নীতি নিয়েই চলেছে। ইমরানের পিছনে পাক সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হাত আছে। ফলে এই জয়ও ভারতকে দুশ্চিন্তায় রাখতে পারে। তবে ইমরান গোড়া থেকেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলার উপর জোর দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও সে কথা জানিয়েছেন বারবার। এমনকী এগিয়ে থাকার পর সাংবাদিক সম্মেলনেও বলেছেন, ভারত সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এক-পা এগোলে, পাকিস্তান দু-পা এগোবে। ইমরানের সদিচ্ছাকে সম্বল করে ভারত-পাক অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলেও তাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এসব আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রত্যাখ্যান করে পাক নাগরিকরা গণতন্ত্রের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, তার তারিফ করছে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহল।    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ