Advertisement
Advertisement
Charles Sobhraj

১৯ বছর পর মুক্ত চার্লস শোভরাজ, নেপালের জেল থেকে বেরল ‘বিকিনি কিলার’

শোভরাজের অধিকাংশ শিকারের পরনেই নাকি থাকত বিকিনি।

Charles Sobhraj, the French serial killer, released from Central Jail in Nepal | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 23, 2022 1:33 pm
  • Updated:December 23, 2022 1:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ বছর পর মুক্ত চার্লস শোভরাজ। অবশেষে বুধবার নেপালের জেল থেকে বেরল কুখ্যাত ‘বিকিনি কিলার’। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এদিন জোড়া খুনে দোষী ওই ফরাসি নাগরিককে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২১ ডিসেম্বর শোভরাজকে জেল থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয় নেপালের শীর্ষ আদালত। ১৯৭৫ সালে কাঠমান্ডুতে উত্তর আমেরিকার দুই পর্যটককে খুনের মামলায় শোভরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল নেপালের আদালত। ২০০৩-এ ফ্রান্স থেকে নেপালে ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তারপর থেকে প্রায় ১৯ বছর ধরে জেলে ছিল সে। দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর মুক্তির আবেদন করে শোভরাজ। বিবিসি সূত্রে খবর, গত বুধবার ৭৮ বছরের বিকিনি কিলারের মুক্তির আবেদনের শুনানি হয় নেপালের সুপ্রিম কোর্টে। বয়স, স্বাস্থ্য এবং জেলে ভাল ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে শোভরাজের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তবে মুক্তির ১৫ দিনের মধ্যেই ওই কুখ্যাত হত্যাকারীকে ফ্রান্সে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রীদের পরনে আবায়া নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব]

সাত ও আটের দশকের গোড়ায় থাইল্যান্ড-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলা পর্যটকদের মাদক খাইয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। তাঁর অধিকাংশ শিকারের পরনেই নাকি থাকত বিকিনি। খুনের ধরন দেখে শোভরাজকে বলা হত ‘দ্য স্পিলিটিং কিলার’। হত্যাকাণ্ডের পরে সরীসৃপের মতো মসৃণ পথে পালানোর কায়দা তাকে নাম দিয়েছিল ‘দ্য সারপেন্ট’। থাইল্যান্ডে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠে শোভরাজ।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শোভরাজের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ জন মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ১৪ জনই থাইল্যান্ডে শোভরাজের শিকার হয়। দিল্লিতেও ৩ পর্যটককে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে তিহাড় জেলেও দীর্ঘদিন ছিল সে। একাধিক ভাষায় পারদর্শী শোভরাজ তার সুদর্শন চেহারা এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগাতো ‘শিকার’কে বাগে আনতে। একাধিক বার জেল থেকে পালানোর অভিযোগও উঠেছে শোভরাজের বিরুদ্ধে। ১৯৮৬ সালে এক সিপাহীকে মাদক খাইয়ে তিহাড় থেকেও পালিয়েছিল সে। কিন্তু কিছু দিন পরেই গোয়ার এক রেস্তরাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন শোভরাজ। এর পর নেপালে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি চান পুতিন! রুশ প্রেসিডেন্টের মুখে আচমকা ‘শান্তি’র বার্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ