Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফ্লয়েড

মানবিকতা নাকি ক্ষতয় মলম দেওয়ার চেষ্টা! ফ্লয়েডের শেষকৃত্য পুলিশের উপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন

কফিন ঘিরে স্যালুট করেন তাঁরা।

Cops attend george floyd's funeral at Houston in USA
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 11, 2020 9:10 am
  • Updated:June 11, 2020 9:10 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর মৃত্যুতে গর্জে উঠেছিল আমেরিকা। প্রতিবাদ হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। সেই কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ১৪ দিন পর সমাহিত করা হল। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন হাজার-হাজার মানুষ। এমনকী, হাউস্টনের পুলিশ আধিকারিক-সহ কর্মীরাও। রীতিমতো তাঁর কফিনের উদ্দেশ্যে স্যালুট করেন তাঁরা। তবে এই ঘটনায় একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সত্যিই কি মানবিকতার খাতিরে পুলিশ কর্মীরা হাজির ছিলেন, নাকি স্রেফ ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা!

হিউস্টনের ফাউন্টেন অব প্রেজ গির্জায় ফ্লয়েডের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাঁর মরদেহ প্রায় ছয়ঘণ্টা রাখা হয়েছিল। হাজার-হাজার সাধারণ মানুষ এসে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। জানা গিয়েছে, প্রথমে মোটরগাড়িতে করে তার মরদেহ হিউস্টন মেমোরিয়াল গার্ডেনসে নিয়ে আসা হয়। সব রীতিনীতি সেরে ঘোড়ার গাড়িতে করে মরদেহ পিয়ারল্যান্ড সিমেট্রিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত হরা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন  : ইমরানের জনপ্রিয়তায় ভাটা, ফের পাকিস্তানের রাশ ধরতে চলেছে ফৌজ!]

হিউস্টনের গির্জায় জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণে বলতে গিয়ে বহু বক্তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য, ফ্লয়েডের ‘একমাত্র অপরাধ হল সে কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে জন্মে ছিল’। মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ, ফ্লয়েডের শেষকৃত্যে তার স্মরণে স্থানীয় বাসিন্দাদের ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড নীরবতা পালন করতে অনুরোধ করেন। কারণ মৃত্যুর আগে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে একজন পুলিশ জর্জ ফ্লয়েডকে মাটির সঙ্গে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রেখেছিলেন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনও ফ্লয়েডের শেষকৃত্য উপলক্ষে বার্তা দিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন  : জুয়া ‘খেলে’ গ্রেপ্তার গাধা, পাকিস্তানি পুলিশের কাণ্ডে হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]

তবে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য হল হাউস্টন পুলিশের উপস্থিতি। জানা গিয়েছে, ফ্লয়েডের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা ফ্লয়েডের কফিন ঘিরে শ্রদ্ধা জানান। এমনকী, স্যালুটও করেন। প্রসঙ্গত, এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মীর অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ। এরপরই প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে উত্তাল হয় আমেরিকা। এরপর জর্জের শেষকৃত্যে পুলিশ কর্মীদের হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, স্রেফ ক্ষোভের ক্ষতই প্রলেপ দিতে আত্মসমালোচনা। শেষকৃত্যে হাজির থেকে আই ওয়াশের চেষ্টা। তবে অনেকই একথা মানতে চাননি। তাঁদের কথায়, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেই ফ্লয়েডের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ