সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে চিন-আমেরিকা দ্বন্দ্ব অব্যাহত। আমেরিকায় সংক্রমণের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় দিশেহারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) এবার চিনের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় তিনি রাজি নন।
করোনা নিয়ে শুরু থেকেই চিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে আমেরিকা। গবেষণাগার হোক বা মাছের বাজার, করোনা যে চিন থেকেই ছড়িয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত আমেরিকা। আর ট্রাম্প প্রশাসনও তুলোধোনা করতে এককাট্টা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে একাধিকবার চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পেম্পেও প্রায় প্রতিনিয়তই তোপ দেগে আসছেন চিনের বিরুদ্ধে। কদিন আগেই মার্কিন মুলুকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন সরব হয়েছিলেন চিনের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার ট্রাম্প যে হুঁশিয়ারি দিলেন, তা নিঃসন্দেহে চিনের রক্তচাপ বাড়াবে।
[আরও পড়ুন: ‘দুই দশকে ৫টা মহামারি ছড়িয়েছে চিন’, বিস্ফোরক অভিযোগ মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার]
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, “আমরা অনেক কিছু করতে পারি (চিনের বিরুদ্ধে)। আমরা সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে পারি।” জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলছেন,”আমার সম্পর্ক খুব ভাল। কিন্তু, এখন আমি ওঁর সাথে কোনও কথা বলতে চাই না।” উল্লেখ্য, চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ট্রাম্পের উপর চাপ আসছে তাঁর সংসদ থেকেই। অনেক সেনেটর চাইছেন ট্রাম্প বেজিংয়ের বিরুদ্ধে বড় কোনও ব্যবস্থা নিন। তারপরই সম্পর্ক ছিন্ন করার এই হুমকি নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে জিনপিংকে (Xi Jinping)। কারণ, করোনার জেরে এমনিতেই বিদেশি সংস্থাগুলি আর চিনে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। তার উপর যদি আবার আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়, তাহলে বড় ধাক্কা খাবে বেজিং। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে চিনা প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে রেকর্ড পতন হয়েছে। ২০১৮ সালে আমেরিকায় চিনের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ছিল ৫৪০ কোটি ডলার। গত বছর সেটা নেমে হয়েছে ৫০০ কোটি ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ রীতিমতো উধাও হয়ে গিয়েছে।