Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

সীমান্ত সংঘাতে কতটা প্রভাবিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, কী বলছে চিন?

গালয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সংঘাত তীব্র হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে।

Here is what China says on ties with India
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:March 14, 2024 9:04 am
  • Updated:March 14, 2024 9:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সংঘাত তীব্র হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চোখ রাঙাচ্ছে লালফৌজ। যা নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে একাধিকবার বলা হয়েছে, সীমান্তে শান্তি না ফিরলে দুদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। এবার ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলল বেজিং। কমিউনিস্ট দেশটির দাবি, সীমান্ত ইস্যুর প্রভাব পড়বে না বেজিংয়ের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কে।  

গত সোমবার একটি অনুষ্ঠানে চিনা কূটনীতিকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, “আমি মনে করি সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা কোনও দেশের পক্ষেই ভালো নয়। আমরা যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেছি তা অনুসরণ করা দরকার দুদেশের সাধারণ স্বার্থে। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়। এটা চিনের নিজের স্বার্থেও করতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনকে। উত্তরে তিনি বলেন, “ভারত প্রায়ই বলে যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি না থাকলে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। চিন-ভারত সীমান্ত সমস্যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে না। ভুল সিদ্ধান্ত এড়াতে উভয় দেশকে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় আমেরিকা!]

ওয়াং আরও বলেন, “চিন বারবার জোর দিয়েছে যে সীমান্ত বিরোধ কখনওই সমগ্র চিন-ভারত সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটায় না। সীমান্তে পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করতে হবে উভয় পক্ষের সাধারণ স্বার্থে। আমরা আশা করি, ভারত আমাদের সঙ্গে একই দিকে কাজ করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে। উভয় দেশের উচিত পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি এবং ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল সিদ্ধান্ত এড়ানো। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল পথে গড়ে তুলতে আমাদের মতভেদ কাটিয়ে ফেলতে হবে।”

Advertisement

বলে রাখা ভালো, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) মুখোমুখি হয় ভারত (India) ও চিনের ফৌজ। দুপক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করেন। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর সেবারই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা কমেনি। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে সেলা টানেলের উদ্বোধন চিন্তা বাড়িয়েছে চিনের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ