Advertisement
Advertisement

Breaking News

Myanmar

রাতের অন্ধকারে বুটের আওয়াজ! মায়ানমারে গণবিক্ষোভ আটকাতে নয়া পন্থা সেনার

ঝড় থেমে যাবে, বিশ্বাস গণতন্ত্রকামীদের।

How Myanmar security forces are using night raids to suppress protests | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 22, 2021 9:56 am
  • Updated:February 22, 2021 12:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের পর মায়ানমারে (Myanmar) শুরু হয়েছে ‘অসহযোগ আন্দোলন’। রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আঁচ। পুলিশের গুলিতে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এহেন ডামাডোলে এবার গণতন্ত্রের আওয়াজ থামিয়ে দিতে ‘নৈশ অভিযান’ শুরু করেছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা।

[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হঠাৎই মার্কিন বিমানে আগুন, আতঙ্কিত যাত্রীরা! ভিডিও ভাইরাল]

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ দেশের দখল নেয় মায়ানমারের সেনাবাহিনী। ভোটে কারচুপির অভিযোগে বন্দি করা হয় প্রশাসক আং সান সু কি-সহ গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিনিধিদের। ‘দেশের স্বার্থেই’ এই পদক্ষেপ বলে দাবি করে সেনাবাহিনী। এমনকী, প্রথম সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেই অর্থে কোনও কড়া পদক্ষেপও করেনি টাটমাদাও। সূত্রের খবর, দেশটির সেনাপ্রধান মিন আং হ্লাইং ও তাঁর সামরিক আধিকারিকরা মনে করেছিলেন, শুরু থেকেই সেনাশাসনে অভ্যস্থ মায়ানমারের জনতা। তাই প্রাথমিক উত্তেজনা ও প্রতিবাদ কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ঘটনাবলী। ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালে সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে হওয়ায় আন্দোলনের চাইতেও বড় আকার নিয়েছে এবারের বিক্ষোভ। স্কুল-কলেজের ছাত্র থেকে শুরু করে আমলা ও পুলিশের একাংশ রীতিমতো ‘অসহযোগ আন্দোলন’ শুরু করেছে। এবার সেই প্রতিবাদ থামাতে রাতের অন্ধকারে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে বার্মিজ সেনা। ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ রাতে ইয়াঙ্গনে দেশটির শাসকদল ও সু কি’র পার্টি এনএলডি’র কার্যালয়ে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। পরেরদিন একই কায়দায় রাতের গভীরে এনএলডি’র ছয় প্রবীণ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মায়ানমারে BBC’র প্রতিনিধি নেইন চেন আয় জানিয়েছেন, “নিদ্রাহীন রাত এখন মায়ানমারে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।” সেনার ভয়ে তটস্থ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে কেউই প্রায় ঘুমোচ্ছেন না। কারণ, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও যুবকদের টার্গেট করছে সেনা। তাই গ্রামে বা গলিতে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা। সেনার গাড়ি দেখলেই সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে সকলকে। সব মিলিয়ে প্রতিবাদ থামাতে কার্যত ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। কিন্তু গণতন্ত্রকামীদের বিশ্বাস, প্রতিবাদী কণ্ঠ থামবে না। এই ঝড় একদিন ঠিক থেমে যাবে।

[আরও পড়ুন: ১৬ ঘণ্টার বৈঠক মলডোতে, দেপসাং-গোগরা থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে চিন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ