Advertisement
Advertisement
Trump Warns Taliban

শান্তি চুক্তির খেলাপ হলে ফের অভিযানের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণের ফলে এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ।

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 1, 2020 12:23 pm
  • Updated:March 1, 2020 12:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তি চুক্তির খেলাপ করে তালিবানরা আবার যদি পুরনো মেজাজে ফিরে যায়। তাহলে আমেরিকা আবার ফিরে আসবে। আফগানিস্তানে নিজেদের সেনা মোতায়েন করবে। শনিবার একথাই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দেড় যুগের দীর্ঘ লড়াই ও দেড় বছরের আলোচনার পর শনিবার তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে আমেরিকা। গতকাল চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এই ঘটনার জন্য রাষ্ট্রসংঘ ও ন্যাটো (NATO)-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির শর্ত মেনে রবিবার থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও জানান। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের তালিবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সিরিয়ার সেনাঘাঁটিতে তুরস্কের ড্রোন হামলা, মৃত ২৬ জন জওয়ান ]

 

Advertisement

এপ্রসঙ্গে বলেন তিনি, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ করে সবাই খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। এর ফলে অনেকের যেমন প্রাণ গিয়েছে তেমনি জখমও হয়েছেন প্রচুর মার্কিন সেনা জওয়ান। তাঁদের প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এতদিন ধরে মার্কিন সেনারা প্রচুর তালিবান জঙ্গিকে খতম করেছে। তবে এখন শান্তির আবহাওয়ায় তা মনে রাখার দরকার নেই। বরং এখন মানুষকে তাদের ঘরে ফেরানোর পালা। এর জন্য খুব তাড়াতাড়ি তালিবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনাতেও বসতে চাই আমি। তবে ফের যদিও কোনও বাজে ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা আবার ফিরে আসব।’

[আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যু, বিদেশ সফরে লাগাম টানছেন ট্রাম্প]

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৯/১১-এর হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আফগানিস্তানে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পর বিশ্বের মানচিত্রে সন্ত্রাসের নয়া সংজ্ঞা তৈরি করে তালিবানরা। যাদের একমাত্র শত্রু ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই পালটা দিতে আফগানিস্তানে সেনা অভিযান করে আমেরিকা। মার্কিন অভিযানের পর বদলে যায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। তবে দীর্ঘ ১৮ বছরের সংঘর্ষে মার্কিন কোষাগার থেকেও ৭৫,০০০ কোটি মার্কিন ডলার খসেছে। এই বিপুল পরিমাণ খরচের জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং বর্তমান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশবাসীর কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ