Advertisement
Advertisement

Breaking News

মধুচন্দ্রিমা

মধুচন্দ্রিমায় মর্মান্তিক ঘটনা! শ্রীলঙ্কার হোটেলে খাবার খেয়ে মৃত্যু ভারতীয় তরুণীর

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ছাড়তে পারবেন না স্বামী৷

Indo-British woman died in Sri Lanka after having food in a hotel
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 12, 2019 8:19 pm
  • Updated:May 12, 2019 8:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণীর৷ শ্রীলঙ্কায় হোটেলের খাবার খেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন বছর একত্রিশের উশীলা প্যাটেল৷ তদন্তে নেমে মৃত তরুণীর স্বামী খিলান চান্দারিয়াকে দেশ ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা পুলিশের তরফে৷

ঘটনা গত সপ্তাহের৷ ১৯ এপ্রিল ব্রিটেনে বিয়ে করেছেন বছর একত্রিশের উশীলা প্যাটেল ও তেত্রিশ বছরের খিলান চান্দারিয়া৷ বিয়ের পর উশীলা মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার গলে৷ ‘আমারি গল’ নামে সেখানকার এক নামী রিসর্টে উঠেছিলেন৷ সেখানে খাওয়াদাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বামী, স্ত্রী দুজনেই৷ রক্তবমি হয় তাঁদের৷ খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে এই অবস্থা বলে অভিযোগ ওঠে পরিবারের তরফে৷ স্বামী খিলান সুস্থ হয়ে উঠলেও, হাসপাতালে ভরতি করাতে হয় স্ত্রী উশীলাকে৷ ৬দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়৷ হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিশ৷ স্বামী খিলানকে শ্রীলঙ্কা ছাড়াতে বারণ করা হয়৷ আদালতের নির্দেশে তাঁর পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় ল্যাবরেটরিতে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: হদিশ মিলল ২৬০০ বছরের পুরনো গাছের, হতবাক বিজ্ঞানীরা]

গল পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়,‘মুখ্য বিচারক হর্ষণা কেকুনাওয়ালেয়া সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন শুনানির স্বার্থে সবরকম তথ্য-প্রমাণ পেশের সুযোগ দেওয়া হোক৷ আগামী ১৫ তারিখ মামলাটির শুনানি৷ এর দ্রুত নিষ্পত্তি চান বিচারক৷ প্রমাণের জন্য মৃতদেহটি এখনও ছাড়া হয়নি৷ তা কারাপিতিয়া হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে৷ আমরা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছি না৷ তাই এতটা দেরি হচ্ছে৷’

Advertisement

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত মহিলা সাংবাদিক]

ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে রিসর্ট কর্তৃপক্ষ৷ মুখপাত্র রাসেল কুল স্বীকার করে নিয়েছেন, খাওয়ার পরই ওই দম্পতি অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চিকিৎসা করা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি৷ সেইসঙ্গে তাঁর আরও যুক্তি, ‘আমরা হালকা খাবার রান্না করি৷ রিসর্টে থাকা সব অতিথিই ওইদিন একই খাবার খেয়েছিলেন৷ তাঁরা তো সুস্থই আছেন৷ তাহলে খাবারে বিষক্রিয়া হয়েছে, তা কীভাবে প্রমাণ করা যায়?’ প্রশ্ন হাজারও৷ উত্তর এখনও অধরা৷ তবে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে এভাবে জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে স্বভাবতই স্তব্ধ খিলান৷ এই পরিস্থিতিতে তদন্তের জন্য একলা শ্রীলঙ্কায় থাকাও তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ