Advertisement
Advertisement

সৌদি নির্দেশে তিনদিন ধরে পোড়ানো হয় খাশোগ্গির দেহাংশ

নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অডিও টেপ ফাঁস।

Jamal Khashoggi body burned
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 5, 2019 12:30 pm
  • Updated:March 5, 2019 12:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াশিংটন পোস্টের প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট জামাল আহমেদ খাশোগ্গিকে কেটে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। তারপর তাঁর দেহাংশ রান্নার উনুনে পোড়ানো হয়েছিল। এই কাজটি ছিল সময়সাপেক্ষ। কিন্তু সৌদি আরবের সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই খাশোগ্গিকে এরকম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে।

[মাসুদের পর এবার দাউদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার প্রস্তুতি ভারতের]

Advertisement

কাতারভিত্তিক সংবাদ চ্যানেল আল জাজিরা তাদের খবরে খাশোগ্গির হত্যা পদ্ধতি নিয়ে গা শিউরে ওঠা একটি খবর সম্প্রচার করেছে। বার বার এই খবরটি আল জাজিরার চ্যানেল ও ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজপরিবারের নির্দেশে সৌদি গুপ্তচরদের ‘কিলিং টিম’ আগে থেকেই ছক কষে খাশোগ্গিকে ডেকে এনে হত্যা করে তাঁর মৃতদেহের শেষ চিহ্নটুকুও লোপাট করেছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ড চলার সময় যে একটি অডিও রেকর্ডিং টেপ পরে ফাঁস হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি সৌদি গুপ্তচররা। এই ঘটনায় অতীতে প্রমাণ মিলেছে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সৌদি দূতাবাসের মধ্যেই ফাঁদ পেতে ডেকে এনে খাশোগ্গিকে হত্যা করেছিল ওই কিলিং টিম।

Advertisement

কিন্তু এতদিন লাগাতার জেরা ও তদন্তে উঠে এসেছে, বড়সড় চেহারার ষাটোর্ধ্ব খাশোগ্গির দেহাংশ লোপাট করতে নাইট্রিক অ্যাসিড ও সালফিউরিক অ্যাসিডে চোবানো হয়েছিল। সেখানেই গলে মিশে যায় হাড়, মাংস সব কিছু। কিন্তু আল জাজিরা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, খাশোগ্গির দেহাংশ দূতাবাসের হেঁশেলের গ্যাস ওভেনে (উনুনে) পুড়িয়ে ছাই করা হয়েছিল। তার সেই ছাই গুলি ম্যানহোলে ফেলে দেওয়া হয়। এভাবেই খাশোগ্গির অস্তিত্ব ও মৃতদেহ লোপাট করেছে সৌদি সরকার। ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ দূতাবাসের একাধিক কর্মী, তুরস্ক পুলিশের একাংশের সাক্ষাৎকার নিয়েছে আল জাজিরার একাধিক তদন্তকারী টিম। সেখানে উঠে এসেছে, হাড় কাঁপানো ভয়ংকর তথ্য। খাশোগ্গির দেহাংশ অ্যাসিডে চোবানো হয়নি। তা লোপাট করা হয়েছে আগুনে পুড়িয়ে। একসঙ্গে চার-পাঁচটি বার্নার জ্বালিয়ে তিনদিন ধরে দফায় দফায় সেই দেহের টুকরোগুলি পোড়ানো হয়েছিল। টানা তিনদিন ধরে জ্বলতে থাকায় ওই দূতাবাস ভবনের উঁচু চিমনির উপরের দিকটি কালো হয়ে পুড়ে যায়। গলে যায় গ্যাস ওভেনের ধাতব ফ্রেম। কারণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে করা হয়েছিল হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

তিন দিন ধরে মানুষের মাংস পুড়তে থাকায় অসহনীয় দুর্গন্ধে ভরে উঠেছিল রান্নাঘর ও সংলগ্ন চত্বর। সেই দুর্গন্ধ আড়াল করতে ওই উনুনে রান্না করা হয় মাটন ও ভেড়ার মাংস। তুরস্ক পুলিশ ও রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী দলটি অবশ্য জানিয়েছে, দূতাবাসের দেওয়ালে ছিটকে লেগেছিল খাশোগ্গির শরীরে রক্তের দাগ। তা ঢাকতে টাটকা রংও করেছিল দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। তুরস্কের সরকারি সংবাদসংস্থা আনাদোলু পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সৌদি সরকারের নির্দেশেই রীতিমতো চিতা সাজানো হয়েছিল দূতাবাসের রান্নাঘরের ভিতর। সেখানে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে কাঠের চিতায় আগুন ধরানো হয়েছিল। সেখানে হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পোড়ানো হয়েছিল খাশোগ্গির দেহ।

[‘এবার জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মারব’, আরও বড় হামলার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ