সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার আতঙ্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফিলিপিন্সে মাস্ক পরেই সম্পন্ন হল গণবিবাহ। এদিন প্রায় ২২০ জন দম্পতি শুরু করল নিজেদের জীবনের নতুন পথ চলা। কোস্টাল সিটি বাকোলোড আয়োজিত এই গণবিবাহে অংশগ্রহণ করলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের জনজীবন ত্রস্ত করোনার করাল আক্রমণে। মারা গিয়েছে প্রায় ২২৩৬ জন নাগরিক। তবে সেই দুঃখের স্মৃতিকে ভুলিয়ে দিতে ফিলিপিন্সের গণবিবাহের আসর সেজে উঠেছিল সাদা গাউন, সাদা শার্ট ও নীল মাস্কে।
বছর ৩৯ এর জন পল জানান, “মাস্ক পরে চুম্বনে অদ্ভুত অনুভূতি হলেও করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তা ব্যবহার করতেই হল। “এদিনের অনুষ্ঠানে জন পলও বিয়ে করেন তার সাত বছরের সম্পর্কে থাকা প্রেমিকাকে। অনুষ্ঠান স্থলে প্রায় তিল ধারণের জায়গা ছিল বলেও দাবি করেন জন। তবে যারা এই গণবিবাহে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সকলকে নিজেদের স্বাস্থ্য রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। পাশাপাশি জমা রাখতে হয়েছে বিগত ১৪ দিন তারা কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলেন সেই সংক্রান্ত নথিও। কারণ, করোনার সংক্রমণে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে চিন থেকে আগতদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের প্রতিনিধি মেয়র ইভিলিও লিওনার্দিও জানান, “সকলের শারিরীক সুস্থতার কথা মাথার রেখে এই ধরণের সতর্কতা গণবিবাহের অনুষ্ঠানে বজায় রাখা হয়। কারণ প্রতিটি পরিবার সুস্থ থাকলে তবেই একটি শহর কোনও রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী প্রমাণিত হবে।”
[আরও পড়ুন:চিন ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যে হানা করোনা ভাইরাসের, ইরানে মৃত ২]
ফিলিপিন্স শহরের নিয়ম প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স দিনের পরেই এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৩ সালে আয়োজিত গণবিবাহে প্রায় ২০১৩ টি দম্পতি অংশগ্রহণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় গণবিবাহকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া হয়। গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার দিতে প্রায় ৩০ হাজার নাগরিকের জন্য সেখানে হ্যান্ড স্যনিটাইজার ও মাস্কেরও আয়োজন করা হয়। চিনের বাইরে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় ফিলিপিন্সে।