Advertisement
Advertisement
প্লেগ

OMG! কাঠবিড়ালির কাঁচা মাংস খেয়ে এ কী হাল হল দম্পতির!

জানলে শিউরে উঠবেন।

Mongolian couple dies after eating squirrel, sparks plague
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 9, 2019 11:44 am
  • Updated:May 9, 2019 2:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঠবিড়ালির কাঁচা মাংস খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে, কোনও রোগ বাসা বাঁধতে পারে না শরীরে৷ এই বিশ্বাস থেকে মৃত কাঠবিড়ালির শরীর থেকে কিডনি, গল ব্লাডারের মতো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তুলে খেয়ে ফেলেছিলেন এক দম্পতি৷ ফলস্বরূপ যা হল, তা সম্পূর্ণ উলটো৷ প্লেগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ওই দম্পতির৷

ঘটনা রুশ-মঙ্গোলিয়া সীমান্তের সাগান্নুর এলাকার৷ যেখানে প্লেগ ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে৷ অন্তত ১৪০০ জন রোগাক্রান্ত৷ সংক্রমণের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ৷ বাসিন্দাদের অনুমান, কাঠবেড়ালিখেকো ওই দম্পতির থেকেই প্লেগ ছড়িয়েছে৷ এমন এক দুর্গম জায়গার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, সেখানে গিয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী মার্কিন মানবাধিকার কর্মী সেবাস্টিয়ান পিক৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: নামকরণ হল রয়্যাল পরিবারের নতুন সদস্যের, সাধ করে কী ডাকছেন হ্যারি-মেগান?]

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র তরফে যাঁরা রাশিয়া-মঙ্গোলিয়া সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের কথায়, ‘মঙ্গোলিয়ানদের একাংশের বিশ্বাস, ওই এলাকার পার্বত্য অঞ্চলের বড় ইঁদুর কিংবা কাঠবিড়ালির কাঁচা মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল৷ কিন্তু মৃত দম্পতি যে কাঠবিড়ালির মাংস এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খেয়েছিলেন, তার শরীরে মারণরোগের সংক্রমণ ছিল৷ তা না জেনেই শিকার করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন৷ যার জেরে এমন বিপত্তি৷ প্লেগ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়৷’ ঘটনা প্রায় সপ্তাহখানেক আগেকার৷ ওই মাংস খাওয়ার পর ৩৭ এবং ৩৮ বছর বয়সী স্বামী-স্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়৷ শরীরে একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ায় তাঁদের প্রাণহানি ঘটেছে৷ তারপরই তাঁদের শরীরের রক্ত নিয়ে গবেষণাগারে পরীক্ষা করার পর বিষক্রিয়া ধরা পড়ে৷ এবং আরও গবেষণায় গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে৷ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে অন্তত ১৮০০ জন আক্রান্ত৷

[ আরও পড়ুন: ‘বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইকে খতম ১৭০ জন জঙ্গি’, বিস্ফোরক দাবি সাংবাদিকের]

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,একটা সময়ে এই এলাকা থেকেই প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় একটা প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল৷ সেবারও দায়ী ছিল ওই পার্বত্য এলাকার বিশেষ প্রজাতির কাঠবিড়ালি৷ তারপর থেকে রাশিয়া-মঙ্গোলিয়া সীমান্তের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েছিল হু৷ পার্বত্য এলাকা থেকে শিকারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাতে যে শেষপর্যন্ত বিশেষ লাভ হয়নি, এই ঘটনাই তার প্রমাণ৷ যেমন কাটেনি কুসংস্কারের আঁধারও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ