Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uyghur

উইঘুরদের উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে চিন! প্রকাশ্যে নয়া ভিডিও

এই ধরনের অভিযোগ বরাবরিই উড়িয়ে দিয়েছে বেজিং।

New documentary sheds light on Uyghur detention camps in China। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 21, 2021 6:05 pm
  • Updated:November 21, 2021 6:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে (China) সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই সরব আন্তর্জাতিক মহল। যদিও চিন এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বারবারই বেজিংয়ের নানা আপত্তিকে উড়িয়ে জোরাল হয়েছে উইঘুরদের দুরবস্থার দাবি। এবার সামনে এল ২০ মিনিটের এক তথ্যচিত্র। সেই ভিডিওয় তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হয়ে চলেছে উইঘুরদের।

কী দেখা গিয়েছে সেই ভিডিওয়? গুয়ান গুয়ান নামের এক সমাজকর্মী তুলেছেন ভিডিওটি। সেখানে দেখানো হয়েছে, কীভাবে চিনের শিনঝিয়াং প্রদেশে বন্দি শিবিরগুলিতে (Concentration camp) প্রবল অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে উইঘুরদের। কোনও বিচার ছাড়াই তাদের বন্দি রেখে চালানো হচ্ছে নির্যাতন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফের হিন্দু নির্যাতন, ১১ বছরের কিশোরকে যৌন হেনস্তার পর খুন]

উল্লেখ্য, জিনপিং প্রশাসনের রক্তচক্ষু এড়িয়ে চিনে গিয়ে ভিনদেশি কোনও সাংবাদিকের পক্ষে এই ধরনের ছবি বা ভিডিও তোলা খুব কঠিন। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলা তো অসম্ভবই। কিন্তু গুয়ান গুয়ান সেদেশেরই নাগরিক হওয়ায় চ্যালেঞ্জটা নিতে পেরেছেন। তিনি ৮টি শহরে ঘুরে ১৮টি বন্দি শিবিরের দুরবস্থা তুলে ধরেছেন ভিডিওতে।

Advertisement

২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর (Uighurs) ও অন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা।

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে ছড়াচ্ছে ‘মাদক সন্ত্রাসবাদ’, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]

এর আগেও শোনা গিয়েছিল, মুসলিম মহিলাদের জোর করে অপারেশন করে বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা গর্ভপাত করানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচিত হলেও তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল নেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও লাভ হয়নি কোনও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ