Advertisement
Advertisement
Pakistan

পা কাঁপছিল পাক সেনাপ্রধানের, ভারতের ভয়ে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেয় পাকিস্তান!

পাক সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতা।

Pak leader descibes FM Qureshi's condition when Wg Cdr Abhinandan was held | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 29, 2020 8:43 am
  • Updated:October 29, 2020 8:43 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হামলার ভয়ে পা কাঁপছিল পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার। প্রচণ্ড ঘামছিলেন তিনি। পাক বিদেশমন্ত্রীর অবস্থাও ছিল তথৈবচ। ভয়ে অভিনন্দন বর্তমানকে (Abhinandan Varthaman) মুক্তি দেয় পাকিস্তান। বুধবার, পাক সংসদে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানিয়েছেন খোদ পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতা সর্দার আয়াজ সাদিক।

[আরও পড়ুন: দোহা বিমানবন্দরে বিদেশি মহিলাদের বিবস্ত্র করে তল্লাশি, তীব্র নিন্দার মুখে কাতার]

ইমরান খান প্রশাসন ও পাক সেনার ভারত ভীতি প্রকাশ্যে এনে সংসদে সাদিক জানান, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে রীতিমতো বিপাকে পড়েছিল পাকিস্তান। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। ওই বৈঠকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাদিক। তবে বৈঠক এড়িয়ে যান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেদিনের আলোচনার বিষয়ে জানিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগের ওই নেতা বলেন, “সেদিনের বৈঠকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আসেননি, সেখানে ছিলেন সেনাপ্রধান বাজওয়া। তাঁর পা কাঁপছিল। ঘামছিলেন তিন। বিদেশমন্ত্রী কুরেশি বলেছিলেন, অভিনন্দনকে না ছাড়লে সেদিন রাত ৯টার মধ্যেই পাকিস্তানের উপর হামলা করবে ভারত। তাই ইশ্বরেই দোহাই একে ছেড়ে দেওয়া হোক।”

Advertisement

এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে শাসকদলকে ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তুলোধোনা করেন সাদিক। তিনি সাফ বলেন, সরকার ভারতের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। অভিনন্দন ও কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধীরা সরকারের পাশে ছিল। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে (Pakistan) ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে প্রায় ১১টি বিরোধী দল। পাক সেনার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ সাব্যস্ত করছে তারা। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তুষারাবৃত উপত্যকা রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল৷ পাকিস্তানি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় পুলওয়ামায় শহিদ হন চল্লিশেরও বেশি ভারতীয় সিআরপিএফ জওয়ান৷ শহিদের রক্তে ক্ষোভ তৈরি হয় ভারতবাসীর মনে৷ প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে ওঠেন সকলেই৷ পুলওয়ামায় হামলার ঠিক বারোদিনের মাথায় বোমারু যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর মাধ্যমে আকাশপথে পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি৷ তবে তাতেও শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের৷ তার ঠিক পরেরদিনই আকাশপথে ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে পাকিস্তান৷ যোগ্য জবাব দেয় ভারত৷ ধাওয়া করে পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমান গুলি করে নামান ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান৷ যদিও সীমানা পেরিয়ে ঢুকে যাওয়ায় পাকিস্তান অভিনন্দনকে বন্দি করে৷ কূটনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করে অভিনন্দনকে ভারতে ফেরাতে বাধ্য হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷

[আরও পড়ুন: ‘লাদাখ দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, তৃতীয় কারও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত নয়’, আমেরিকাকে বার্তা চিনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ