Advertisement
Advertisement
Ukraine

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরেনি রুশ ফৌজ, উদ্বেগ উসকে দাবি আমেরিকার

সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা পাঠিয়েছে মস্কো!

Russian troop withdrawal claim from Ukraine border false, says US | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 17, 2022 8:40 am
  • Updated:February 17, 2022 8:40 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপোড়েনে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। কিন্তু বুধবারের সকালে মিলেছে খানিকটা স্বস্তি। জানা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফৌজ প্রত্যাহার শুরু করেছে রাশিয়া (Russia)। ইতিমধ্যেই সেনার একাংশকে সীমান্তরেখা থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু আবারও আশঙ্কা উসকে আমেরিকার বক্তব্য  করেছে, রুশ সেনা সরে যাওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

[আরও পড়ুন: তিনদিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে রুশ ফৌজ, উপগ্রহ চিত্রে মিলল ভয়াবহ তথ্য]

শীর্ষ মার্কিন অধিকারিকদের উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফৌজ সরানোর যে দাবি রাশিয়া করছে তা মিথ্যা। শুধু তাই নয়, সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা পাঠিয়েছে মস্কো বলেও দাবি করেছেন এক মার্কিন আধিকারিক। এই বিষয়ে বুধবার অর্থাৎ গতকাল জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দু’জনেই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে দ্রুত রুশ ফৌজ প্রত্যাহারের দাবি জানান। এবং এই মর্মে প্রমাণ দাবি করেন। এদিকে, গতকাল একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেখানে দেখা যায়, ক্রিমিয়া থেকে সরে যাচ্ছে রুশ বাহিনী ও ট্যাঙ্ক। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় আমেরিকা ও ন্যাটো গোষ্ঠী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক বলেন, “সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে তারা (রাশিয়া) যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু আমরা জানি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

Advertisement

এদিকে, রাশিয়া সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও অত্যন্ত সতর্ক ইউক্রেন। এই বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির বক্তব্য, “রাশিয়া ফৌজ সরিয়ে নিচ্ছে বলে আমার শুনেছি কিন্তু তেমন কিছু আমাদের চোখে পড়েনি।” ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গও দাবি করেছেন যে রুশ ফৌজ সরে যাওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-রাশিয়ার মতো যুযুধান দু’পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিতে নেমে পড়েছিল। এক্ষেত্রে রাশিয়ার তৎপরতাই ছিল বেশি। ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন হয়েছিল বহু রুশ সেনা। আমেরিকা অবশ্য এখনই সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে বলে জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সামান্য চিহ্ন দেখতে পেলেই যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা। চরম মূল্য চোকাতে হবে রাশিয়াকে। সেক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল, মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে পশ্চিমী দুনিয়া। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। সেই কারণেই কি পিছু হটল রাশিয়া? তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহালর মহলের একাংশ।

[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম মহিলারা এভাবেই ধর্মীয় অধিকারকে রক্ষা করে’, হিজাব বিতর্কে মুখ খুলল তালিবান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ