সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় যুবকের প্রেমের টানে সীমান্ত পেরনো পাকিস্তানি (Pakistan) যুবতীর সঙ্গে আইএসআইয়ের (ISI) যোগ থাকতে পারে। এমনটাই সন্দেহ করছেন উত্তরপ্রদেশের এটিএস আধিকারিকরা। এর মধ্যেই কাঠমান্ডুর এক হোটেলের মালিক দাবি করলেন সীমা হায়দার ও শচীন মীনা সেখানে বেশ কয়েকদিন ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় গণেশ নামের সেই হোটেল মালিক বলেন, ”গত মার্চে ওঁরা এখানে এসেছিলেন এবং ৭-৮ দিন ছিলেন। অধিকাংশ সময় তাঁরা ঘরের মধ্যেই থাকতেন। সন্ধেয় বেরতেন। কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরেও আসতেন, কেননা হোটেল ১০টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।” উল্লেখ্য, সেই সময় সীমা তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে আসেননি।
শচীন সীমাকে নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং প্রথমে তিনি একা এসে হোটেল বুক করেছিলেন বলেও দাবি গণেশের। এমনকী, হোটেল ছাড়ার সময়ও তাঁরা পরপর দু’দিন আলাদা করে চেক আউট করেন। এবং শচীন নিজেকে শিবাংশ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন বলে জানান ওই হোটেল মালিক।
উল্লেখ্য, নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি ছিল পাক যুবতী সীমার। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁদের আটকও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে শচীনের বাড়িতেই সংসার শুরু করেন তাঁরা। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়ছে।
এদিকে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছে কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ”আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। উনি আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন এবং জামিনে মুক্তিও পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। নতুন কোনও তথ্য পেলে আমরা আপনাদের জানাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.