Advertisement
Advertisement
Sri Lanka

বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা! সংঘর্ষে মৃত ৮, আহত আড়াইশোর বেশি

নিজের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে।

Sri Lanka economic crisis: 8 dead in violent protests amid curfew। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 11, 2022 9:07 am
  • Updated:May 11, 2022 4:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে দাউ দাউ পুড়ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গোটা দেশ জুড়েই ভয়ংকর দৃশ্য। পুড়ছে বাইক, দোকান, বাড়ি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হুঁশিয়ারি, কাউকে সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলেই চালানো হবে গুলি। তাতেও থামানো যায়নি বিক্ষোভ। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সোমবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। তিনি আপাতত রয়েছে নৌসেনার ছাউনিতে। এদিকে সরকারপক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে সরকার বিরোধীদের সংঘর্ষে পরিস্থিতি ক্রমেই আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে।

সোমবারই পদত্যাগ করেন রাজাপক্ষে। কিন্তু এরপরও ক্রমশই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। বন্দর শহর হামবানটোটায় রাজাপক্ষেদের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। এযাবৎ কলম্বো ও দেশের অন্য প্রান্তে সংঘর্ষে আড়াইশোর উপরে মানুষ আহত হয়েছেন। দেশজুড়ে কারফিউ। নামানো হয়েছে সেনা। কেবল রাজাপক্ষের বাড়িই নয় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংসদ সনৎ নিশান্ত, মহীপাল হেরাথ, নিমাল লাংজা, রমেশ পথিরানা ও মোরাতুয়ার মেয়র সমন লালের বাড়িতেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৩ মে থেকে ১৪দিনের জন্য বাতিল হাওড়ার এই শাখা ৬৮টি ট্রেন, জেনে নিন খুঁটিনাটি]

মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে রাজাপক্ষে ও অন্যান্য রাজনীতিবিদরা প্রাণ বাঁচাতে দেশছাড়া হয়ে আশ্রয় নিতে পারেন ভারতে। যদিও শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এই গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে চেক পয়েন্ট তৈরি করে ফেলেছেন। উদ্দেশ্য, যাতে কোনও ভাবেই রাজাপক্ষে বা তাঁর পরিবারের কেউ দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। যদিও কলম্বোর আকাশে অনেক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গিয়েছে। যা দেখে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, আকাশপথেই দেশ ছাড়ছেন রাজাপক্ষের পরিবার ও অন্যরা।

Advertisement

এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার আমজনতার কাছে আরজি জানিয়েছেন, ‘প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধস্পৃহা’র পথ থেকে সরে দাঁড়াতে। উল্লেখ্য, গত মাসেই শ্রীলঙ্কা প্রশাসন পরিষ্কার করে দেয়, ঋণদাতাদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। শনিবারই পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য দ্বীপরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়।

[আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগের নামে দুর্নীতি একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার! দেশজুড়ে CBI হানায় বিস্ফোরক তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ