Advertisement
Advertisement

Breaking News

দক্ষিণ কোরিয়া

করোনা পরবর্তী দুনিয়া কেমন হবে? গাইডলাইন দিল দক্ষিণ কোরিয়া

কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন।

Work smart, travel alone, eat out fast: South Korea's 2-year virus plan
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 24, 2020 6:21 pm
  • Updated:April 24, 2020 6:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেমন হবে করোনা পরবর্তী পৃথিবী? সেই আলোচনায় ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে। কল্পনার ডানায় ভর করে কেউ লিখছেন, অর্ধেক হয়ে যাবে পৃথিবীর জনসংখ্যা। আবার কারোর কথায়, প্রকৃতি নতুন করে সেজে উঠবে। মোটকথা ‘Life will not be same again’, এটা নিশ্চিত। কেমন হতে পারে সেই দুনিয়া, তার একটি গাইডলাইন প্রকাশ করল দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন।

করোনাকে হারিয়ে ছন্দে ফিরছে দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী দুবছর সেই দেশের নাগরিকরা কেমনভাবে চলবেন, তাদের জীবন কেমনভাবে কাটাবেন, কী করবেন আর কী করবেন না তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে সিওল প্রশাসন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী দুবছর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা বাধ্যমূলক। অর্থাৎ বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হলেই জড়িয়ে ধরা কিংবা করমর্দন করা, আপাতত শিকেয় উঠছে। বদলে ‘নমস্তে’ কিংবা ‘বাও’ই রীতি হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। নিয়ম বদল হচ্ছে গণ পরিবহণেরও। এবার থেকে প্রি-বুকিং করে তবেই গাড়িতে ওঠা যাবে। ট্যাক্সিতে নগদ দেওয়ার বদলে অনলাইনে টাকা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন :ভয়াবহ নজির মৃত্যুপুরী আমেরিকার, করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার]

রেস্তরাঁ বা ক্লাবের রীতিনীতিতেও বদল আনছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন। বলা হয়েছে, খুব বেশি সময় সেখানে কাটানো যাবে না। খাবার অর্ডার দিলে, তা দ্রুত দিতে হবে। এমনকী, একই প্লেট থেকে দুজন খাবার খেতে পারবেন না। আলাদা-আলাদা প্লেটেই খেতে হবে। সিওলের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ বিদেশ থেকে ফিরলে দু সপ্তাহের আগে তাঁকে কাজ যোগ দিতে বলা চলবে না। অফিসগুলিকে বলা হয়েছে, ভিডিও কনফারেন্স, ওয়ার্ক ফ্রমের মাধ্যমে কর্মীদের কাজ করাতে হবে। অফিসে প্রয়োজনের দুজনের কাজের জায়গার মাঝখানে পাঁচিল দিয়ে রাখতে হবে। শপিং মলেও কেনাকাটির সময় এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।

Advertisement

[আরও পড়ুন : মস্তিষ্ক-সহ শরীরে বিভিন্ন অংশে জমাট বাঁধছে রক্ত, করোনার নতুন উপসর্গ ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের]

এ প্রসঙ্গে সে দেশের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং লিপ বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুবছর এই মারণ রোগের প্রভাব থাকবে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে, আগে যেভাবে জীবন উপভোগ করতাম আগামিদিনে সেটা সম্ভব নয়। তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার।” প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ায় আর মাত্র ২৪০ জন করোনা রোগী রয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ