সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সেমিনারের ঘটা কম হয় না। নারী প্রগতি নিয়েও অনেক কথাবার্তা হয়। কিন্তু বাস্তবে অগ্রগতির ছবিটা কীরকম? বাস্তব বলছে স্রেফ কর্মস্থলে শিশুসন্তানকে স্তন্যদানের সুযোগ নেই বলেই কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বেশিরভাগ মায়েরা। অন্তত ৫৪ শতাংশ মহিলার চাকরি ছাড়ার কারণ এটাই।
[ এবার গরুর জন্য পৃথক মন্ত্রকের পরিকল্পনা কেন্দ্রের! ]
১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং উইক’। শিশু ও মায়ের সম্পর্কের ওই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকেই সাতদিন ধরে উদযাপন করা হয় গোটা বিশ্বে। শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় স্তন্যদানের গুরুত্বও এ সপ্তাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচ্য বিষয়। এদিকে এমনিতেই গোটা দুনিয়া জুড়ে প্রকাশ্যে স্তন্যদান নিয়ে হইচই কম নয়। কখনও স্তন্যদান করে সমালোচনার শিকার হয়েছেন কেউ, কেউবা কুড়িয়েছেন কুর্নিশ।
কিরঘিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের কনিষ্ঠা কন্যা আলিয়া শেগেভাকেও পড়তে হয়েছিল এই সমালোচনার মুখে। যদিও সম্প্রতি তিনি সাফ জানিয়েছেন, কে কী মনে করলেন তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না। কারণ সন্তানকে স্তন্যদান করাটাই একজন মায়ের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
[ প্রকাশ্যে স্তন্যদান, নেটদুনিয়া তোলপাড় করা ছবি নিয়ে কী জবাব আলিয়ার? ]
কিন্তু তিনি যে কথাটা বলতে পারেন, সেটা বাকি মায়েরা উপলব্ধি করলেও, কাজে পরিণত করতে পারেন না। কর্মস্থলে শিশুকে স্তন্যদানের মতো জায়গাই নেই, এমনটাই মনে করেন দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ চাকুরীজীবী মহিলা। এবং তার জেরে কাজ ছাড়ছেন অন্তত ৫৪ শতাংশ মহিলা। অর্থা শিক্ষা-দীক্ষা কর্মদক্ষতায় একজন মহিলা নিজেকে যতই উন্নত করুন না কেন, স্রেফ পরিকাঠামোর অভাবে তাঁরা কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বা তাঁদের স্কিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।
[ এবার গরুর জন্য পৃথক মন্ত্রকের পরিকল্পনা কেন্দ্রের! ]
এ অভিযোগ আগেও মহিলারা করেছেন বিভিন্ন সময়। তবে সুরাহা যে কিছু হয়নি তা সমীক্ষার ফলাফলই জানাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক স্তন্যদান সপ্তাহের উদযাপনে এই বিষয়টির দিকে আদৌ নজর দেওয়া হবে কিনা, সে প্রশ্ন মুলতবিই থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.