Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করতে নয়া সফটওয়্যারই হাতিয়ার কমিশনের

আধারের রমরমায় এখনও কতটা প্রাসঙ্গিক ভোটার কার্ড, প্রশ্ন ভোটারদের।

EC’s ERONet software to reduce mistake in Voter Card
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 13, 2017 6:16 am
  • Updated:September 24, 2019 4:31 pm

রাহুল চক্রবর্তী: আধার কার্ডের দাপটে ভোটার কার্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইদানীং আশঙ্কা জাগছে জনমানসে। ঠিক তখনই ভোটার কার্ড তথা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে ‘ইআরওনেট’ চালু করল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকাকে আরও ত্রুটিমুক্ত করার লক্ষে ‘ইআরওনেট’ নামে নতুন এই সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। পুরো নাম, ‘ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার নেটওয়ার্ক’। যা সম্পূর্ণভাবেই কমিশনের নিজস্ব টেকনিক্যাল ব্যবস্থা বা সিস্টেম। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, এতদিন কোনও ব্যক্তির নাম একই রাজ্যের দুটি পৃথক জেলাতে নথিভুক্ত থাকলে, তা প্রচলিত ব্যবস্থায় ধরে ফেলা যেত। কিন্তু দুটি পৃথক রাজ্যে একই ব্যক্তির নাম থাকলে তা জানা খুব একটা সহজ ছিল না। নতুন এই প্রযুক্তির দৌলতে সেই সমস্যা মিটে যাবে। একই ব্যক্তির নাম দেশের এক রাজ্যের পাশাপাশি অন্য কোনও রাজ্যে নথিভুক্ত থাকলে সহজেই ধরা পড়ে যাবে। কমিশনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, নতুন অনলাইন ব্যবস্থার গোটাটাই নিয়ন্ত্রণ করা হবে দিল্লির মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে। ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজনের কাজ শেষ হবাব পর তা ‘ইআরওনেট’-এর মাধ্যমে আপলোড হবে। দিল্লি থেকে তা মনিটর করা হবে। এ রাজ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট মহকুমাকে ‘ইআরওনেট’ প্রজেক্টের জন্য মডেল করা হয়েছে। ক্রমে তা অন্যান্য জেলায় চালু হবে।

Advertisement

[মাত্রাতিরিক্ত দক্ষিণায় লাগাম, ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে ‘রেট চার্ট’ লাগানোর নির্দেশ]

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আধার কার্ডের এই ‘রমরমা’ জমানায় ভোটার কার্ডের কতটা গুরুত্ব। এত আয়োজন করে এই নজরদারি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরও কি খুব কিছু লাভ হবে?

Advertisement

বস্তুত, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড আবশ্যিক হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিত্য নতুন সিদ্ধান্তের জেরে আধার কার্ড যেভাবে প্রতিদিনই পরিসর বাড়িয়ে চলেছে, তাতে আগামী দিনে ভোটার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এমন সংশয় স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই অনেকে একটিই পরিচয়পত্রের সপক্ষে সওয়াল করছেন। কারণ, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, গ্যাস বা মোবাইল কানেকশন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কাজেই এখন আধার কার্ড চাওয়া হচ্ছে। আধার থাকলেই কাজ হবে, এমনটা বলেও দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই সকলে আধার কার্ড তৈরিতে জোর দিচ্ছেন। পরিচয়পত্র, অ্যাড্রেস প্রুফ, বয়সের প্রমাণ–সবেতেই এখন আধার কার্ডকেই গ্রহণ করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগেও যে জায়গাটা দখলে ছিল ভোটার কার্ডের। ক্রমশ গৌণ হয়ে পড়ছে ভোটার কার্ড। অনেকেই বলছেন, আধার কার্ডেই যদি সব হয়, তাহলে ভোটার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কী? আবার দ্বিমতও আছে। যেমন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, “এখন সর্বক্ষত্রে আধার কার্ড চাওয়া হচ্ছে। আধার কার্ডে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আধার কার্ড সবার কাছে তো পৌঁছয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল আরও সময় নিয়ে আধার কার্ডের ব্যবস্থা চালু করা।”

এ প্রসঙ্গে অবশ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট। তারা বলছে, ভোটার কার্ড শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য। এই কার্ড কোনও ব্যক্তি কী কাজে ব্যবহার করবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা কখনও বলছি না, ভোটার কার্ড পরিচয়পত্র, বয়সের প্রমাণপত্রের জন্য ব্যবহার করা হোক। নির্বাচনের কমিশনের বক্তব্য, কেউ ভারতীয় নাগরিক কি না, সেটা প্রমাণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। আমাদের কাজ, এটা দেখা যাঁদের কার্ড আছে, তাঁরাই ভোট দিতে পারবেন। অনেকে আবার বলছেন, ভবিষ্যতে কি ভোটার কার্ডের সঙ্গেও যুক্ত করা হবে আধার কার্ড? নয়াদিল্লির নির্বাচন সদন সূত্রে খবর, সেই আশঙ্কা কাটিয়ে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পোক্ত করতে এই ‘ইওআরনেট’ ব্যবস্থা চালু।

[বোনের খোঁজে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গুলিবিদ্ধ ২ দাদা, অভিযুক্ত জামাই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ