পলাশ পাত্র, তেহট্ট: বিকৃত যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই পেল না বছর দশেকের বালিকাও! রাস্তা থেকে তুলে গিয়ে প্রতিবেশী যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার তেহট্টের মুরুটিয়ায়। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক৷ আপাতত সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রথমে এই সংক্রান্ত অভিযোগই নিতে চায়নি পুলিশ। শেষপর্যন্ত অবশ্য অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: নেতাজি নগরে দম্পতির রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ]
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেলে। মুরুটিয়ার দিঘলকান্দি এলাকায় রাস্তায় পাশে বন্ধুদের খেলা করছিল ওই বালিকা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সে যখন খেলায় মত্ত, তখন হঠাৎ করেই সেখানে হাজির হয় পরেশ বৈরাগ্য নামে এলাকারই এক যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখ চেপে ধরে বছর দশেকের ওই বালিকাকে রাস্তার পাশে কলা বাগানে নিয়ে চলে যায় সে। শুধু ধর্ষণই নয়, বাগানে শিশুটির উপর নারকীয় যৌন নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ। দশ বছরের মেয়েটির খেলার সঙ্গীদের মধ্যে একজন তার বাড়িতে খবর দেয়।
বাড়ির লোক যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত। আর রক্তাক্ত অবস্থায় কলাবাগানে কাতরাচ্ছে ওই নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় করিমপুর হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নির্যাতিতাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির যোনিদ্বারে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ নিতেই চাননি মুরুটিয়া থানার ওসি। উলটে নির্যাতিতা বালিকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে অভিযোগ গ্রহণ করে মুরুটিয়া থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত পরেশ বৈরাগ্যকে। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, বছর একুশের ওই যুবক পেশায় নির্মাণ কর্মী। মুরুটিয়ার দিঘলকান্দি এলাকায় থাকে সে। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও৷