সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া দেওয়া হত দীর্ঘদিন ধরে। করোনা কালে সেই দোকানেই মিলছে করোনার ব়্যাপিড টেস্টিং কিট! বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে (Siliguri)। নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ওই দোকানে হানা দিয়ে আটক করা হয়েছে মূল অভিযুক্তের ভাইকে। উদ্ধার হয়েছে কিট ও অক্সিমিটার। তবে মূল অভিযুক্ত অজিত সাহা এখনও পলাতক।
শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি স্বপন সরকার জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রকৃত বিষয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে বিষয়টি শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন কোভিড চিকিৎসার দায়িত্বপ্রাপ্ত উত্তরবঙ্গের বিশেষ আধিকারিক ডঃ সুশান্ত রায়। তাঁর কথায়, “এমন কোনও করোনা (Corona Virus) টেস্টিং কিট বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা আমার জানা নেই। যদি পাওয়াও যায়, তাহলেও কীভাবে ওষুধের দোকানের বাইরে বিনা লাইসেন্সে পাওয়া যেতে পারে তাও আমার বোধগম্য হচ্ছে না।” বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: টাকা পাঠালেই অনলাইনে পুজো! তারাপীঠ বন্ধ হতেই ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণার ফাঁদ]
সম্প্রতি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, শিলিগুড়ির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সাউন্ড বক্স বিক্রি ও ভাড়া দেওয়ার দোকানে করোনার র্যাপিড টেস্ট কিট বিক্রি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, একেকটি করোনা কিট সাড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি করবে বলে জানিয়েছিল বিক্রেতা। তবে একসঙ্গে ১০০টি কিনলে তবেই কিট বিক্রি করত সে। যার মোট দাম পঁচাশি হাজার টাকা। পঞ্চাশ হাজার টাকা আগাম দিলে দু’দিনের মধ্যে কিট ডেলিভারি করা হবে বলেও জানানো হয় দোকানের তরফে। বিক্রেতার কথায়, প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার মতো সহজেই সোয়াব টেস্টও সম্ভব! এখানে প্রশ্ন উঠছে এগুলি সত্যিই কার্যকর পরীক্ষা কিট কি না। যদি হয়, তাহলে কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে খোলাবাজারে চলে এল এগুলি। আর তা যদি না হয়, তাহলে প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে জাল করোনা টেস্টিং কিট বিক্রি হলেও এতদিন কেন নজরে পড়েনি তা নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে শহরবাসীর মনে।