শংকরকুমার রায়, ইসলামপুর: অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে এসে মৃত্যু হল বিহারের পুলিশ আধিকারিকের। শুক্রবার রাতে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার গোয়ালপোখর এলাকার পান্তাপাড়া গ্রামে বিহারের কিষানগঞ্জ থানার আইসিকে পিটিয়ে ‘খুন’ করা হয়। তাকে ‘ডাকাত’ সন্দেহে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
পাঞ্জি পাড়ার গ্রামের কুখ্যাত দুষ্কৃতী ফিরোজের বিরুদ্ধে বিহারে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পূর্ণিয়া-সহ একাধিক এলাকায় বাইক চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই পান্তাপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। পূর্ণিয়ার আইজির দাবি, পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিশকে জানিয়েই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বাংলার কোনও পুলিশ আধিকারিক বিহারের পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযোগ, গ্রামে ঢুকে তল্লাশি চালানোর সময় অশ্বিনীকুমারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পাশাপাশি গোটা গ্রামে রটিয়ে দেওয়া হয় রাতের অন্ধকারে গ্রামে বাইক চুরি করতে এসেছিল কয়েকজন। উরদি পরে ঘুরতে দেখে মারধর করা হয় বলে গ্রামবাসীদের জানায় ফিরোজ। শনিবার সকালে দেহ উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পূর্ণিয়ার আইজি সুরেশ প্রসাদ চৌধুরী বাংলায় আসেন। ইসলামপুরের পুলিশ সুপারে শচীন মক্কারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানোর কথা। অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হবে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। ঘিরে রেখেছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন মূল অভিযুক্ত ফিরোজের ভাই আবুজার আলম, অপর জন শাহিনুর খাতুন।