নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: সন্দেশখালিতে তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লা খুনে জড়িত সন্দেহে ১ বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বুধবার ভোররাতে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।এর আগেই সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: শিল্পের বদলে আবাসন প্রকল্প, বোলপুরে জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন কৃষকদের]
গত ৮ জুন রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ন্যাজাট এলাকা। মৃত্যু হয়েছিল ১ তৃণমূল নেতা ও ২ বিজেপি নেতার। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার রেশ পৌঁছায় দিল্লি পর্যন্ত। তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষের তরফেই ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে গত শনিবার গভীর রাতে হাটগাছি অঞ্চলের নলকোড়া শেখপাড়ার এক মেছো ভেড়ির চালায় অভিযুক্তরা লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ওইদিন গ্রেপ্তার করা হয় চারজন তৃণমূল নেতাকে। এরপর গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বুধবার ভোররাতে লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় হানা দেয় তদন্তকারীরা। সেখান থেকে কায়ুম মোল্লাকে খুনের অভিযোগে জগদীশ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, মৃত কায়ুম মোল্লার বাবার করা এফআইআরে নাম ছিল ধৃতের।
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বসিরহাটে বাড়ছিল রাজনৈতিক উত্তাপ। ৮ জুন বিকেলে সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার হাটগাজিতে তৃণমূলের একটি কর্মিসভা ছিল। সেসময় কারও কাছে কোনও অস্ত্রশস্ত্র ছিল না বলেই দাবি শাসক শিবিরের। অভিযোগ, সেই সময়ই বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায় সভায়। কায়ুম মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে যে ঘরে বৈঠক হচ্ছিল, সেখান থেকে টেনে বের করে কোপানো হয়েছিল কায়ুম মোল্লাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.