সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালেই পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল দু’জনের। মৃতদের একজনের নাম সুদীপ্ত ঘোষ। বোমা ফেটে জখম হয়েছেন আরও চার জন। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্তদের প্রত্যেককেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়টিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। এই বিস্ফোরণে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের ফলে সরগরম এলাকা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরমপুরে।
[বন্যাবিধ্বস্ত কেরলে গেল জঙ্গলমহলের মহিলাদের তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন]
জানা গিয়েছে, দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক উপলক্ষে জড়ো হয়েছিলেন কর্মীরা। বিস্ফোরণের পর দলীয় কার্যালয়টি কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। ঘটনার সময় কার্যালয়ের ভিতরে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বাইরেও কয়েকজনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বিস্ফোরণের ফলে মারাত্মক জখম হয়েছেন। কার্যালয়ের বাইরের কর্মীদের আঘাত সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিরোধীরা কার্যালয়ের বাইরে থেকে বোমা ছুঁড়েছে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। তাদের একাংশের পালটা অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরে শক্তিশালী বোমা মজুত করা ছিল। আচমকা মজুত বোমার কয়েকটি ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি। আবার এও অভিযোগ, বিস্ফোরণের সময় দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে বোমা তৈরি করছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। সেই সময় আচমকা বোমা ফাটতেই বিস্ফোরণ ঘটে। দলীয় কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এলে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হতে পারে, তাই বিরোধীদের দিকে অভিযোগ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
[বিয়ে ভাঙার পরেও প্রেম! সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী]
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের দাবি, শক্তিশালী কোনও বিস্ফোরণ ঘটেছে। নাহলে পুরো কার্যালয়টির এমন হতশ্রী চেহারা হত না। তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শিগগির প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে। ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণের জেরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অন্যদিকে সাতসকালে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতবাক মকরমপুরের বাসিন্দারা।