ধীমান রায়, কাটোয়া: শরীরে কঠিন অসুখ। চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত পরিবার। উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে বর্ধমানের ভাতারের মহসিনা খাতুন। ছাত্রীর সাফল্যে অভিভূত মহসিনার স্কুলের শিক্ষকরাও।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের পানোয়া গ্রামের বাসিন্দা মহিবুল ইসলাম ও পারভীন বেগমের একমাত্র সন্তান মহসিনা। এবছর বামুনাড়া এল সি পি ডি হাইস্কুল থেকে কলা বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে সে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৫। বামুনাড়া এল সি পি ডি হাইস্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে মহসিনাই। তার মা পরভিন বেগম জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালে আগস্টে একদিন হঠাৎ-ই একদিন মেয়ের মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয়। চিকিৎসকরা জানান, ব্রেন টিউমার।’ গত দু’বছর মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন মহসিনা খাতুনের পরিবারের লোকেরা। উত্তরাধিকার সূত্রে সামান্য একটু জমি পেয়েছিলেন মহিসনার বাবা। তাও বিক্রি করতে দিয়েছে, ধারও করতে হয়েছে। মহসিনার চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে গিয়েছে সাত লক্ষ টাকা। টিউশনি করে কোনওমতে সংসার চালান মহসিনার বাবা। তবে রোগ নিয়ে বিশেষ ভাবিত নয় মেধাবী ছাত্রীটি। বরং সরকারি চাকরি করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চায় সে।
এদিকে কঠিন অসুখের সঙ্গে লড়াইয়ে মহসিনা উচ্চমাধ্যমিকে যে রেজাল্ট করেছে, তাতে অভিভূত তার স্কুলের শিক্ষকরা। বামুনাড়া এল সি পি ডি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলি বলেন, ‘মহসিনা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ওর জন্য আমরা গর্বিত। যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।”
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.