Advertisement
Advertisement

Breaking News

কন্যাশ্রী বিশাখা

মস্তিষ্কে বিরল অসুখ, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বর্ধমানের কন্যাশ্রী

নিজের বিয়ে রুখে নজির গড়েছে বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বিশাখা দাস।

Burdwan's girl fights with a rare diseases in hospital at Kolkata
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 29, 2019 7:42 pm
  • Updated:July 29, 2019 7:50 pm

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা:  ফের এক লড়াইয়ে কন্যাশ্রী বিশাখা। এবার আর সমাজের কোনও কু-প্রথা বা  অন্যায়ের প্রতিবাদ নয়,  এবার লড়াই তাঁর জীবন-মরণের। দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর মেধাবী ছাত্রী বিশাখা দাস। মস্তিষ্কের বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি সে। মেধাবী ছাত্রীটি এতটাই অসুস্থ যে, চলাফেরা, এমনকী কথাও বলতে পারছে না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘অটো ইমুইনো এনেকেফেলাইটিস’  বিরল রোগে আক্রান্ত বিশাখা।

[ আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, কাঠগড়ায় কোচবিহারের সরকারি হাসপাতাল]

Advertisement

ছোট থেকেই পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল বিশাখার। কিন্ত গত বছর জোর করে তার বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশ ডেকে নিজের বিয়ে আটকে দিয়েছিলেন ওই নাবালিকা। চাপের মুখে পরিবারে লোকেরা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন, অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে  দিতে গিয়ে ভুল করেছিলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের জালুইডাঙা জিএসপি স্কুল থেকে মাধ্যমিকে স্টার মার্কস পেয়ে পাস করেছে বিশাখা।  নবদ্বীপের একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে ভরতিও হয় সে। টিউশনির টাকায় চলছিল পড়াশোনা। 

Advertisement

জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে আচমকাই বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে বিশাখা। তড়িঘড়ি তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেখান থেকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। শেষপর্যন্ত শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২০ জুলাই বিশাখা দাসকে ভরতি করা হয় কলকাতার  এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘অটো ইমুইনো এনেকেফেলাইটিস’ নামে মস্তিষ্কের বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রীটি। এই রোগটি অত্যন্ত বিরল। বিশাখার শারীরিক অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক যে, যেকোনও সময়ে কোমায় চলে যেতে পারে সে।

এদিকে এই ঘটনায় কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে বিশাখার পরিবারের লোকেদের। দিদি বর্ণা সন্ন্যাসী দাস বলেন, “পূর্বস্থলীর থেকে কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াত ও সামান্য ওষুধের খরচ চালানোর মত অবস্থা নেই আমাদের। সাহায্য পেলে ভাল হয়।”  বিশাখার মাধ্যমিক পর্যন্ত যে স্কুলে পড়াশোনা করেছে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা যূথিকা দেবনাথ বলেন, “ওর স্বপ্ন এইভাবে ভঙ্গ হবে ভাবতে পারছি না। আমরা স্কুল থেকে সামান্য কিছু অর্থ সাহায্য করার চেষ্টা করছি। সকলে এগিয়ে এলে ভালো হয়।”

[আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই উঠছে ইলিশ, মন্দা কাটিয়ে সুদিনের আশায় দিঘার মৎস্যজীবীরা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ