Advertisement
Advertisement

আকাশে সন্ধ্যা তারা ফুটলেই উমা পাড়ি দেন নাওভাঙা নদীতে

ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট দাদুর বাড়ির পুজো৷

durga-idol-immersion-on-bongaon

ছবি: প্রতীকী

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 20, 2018 7:28 pm
  • Updated:October 20, 2018 7:28 pm  

সোমনাথ পাল, বনগাঁ: আকাশে সন্ধ্যা তারা দেখা গেলেই উমাকে নিয়ে যাওয়া হয় নাওভাঙা নদীতে৷ শুরু হয় দেবীকে বিসর্জন দেওয়ার তোরজোড়৷ যুগ বদলে গেলেও আজও বদলায়নি বাপ-ঠাকুরদার ফেলে আসা ৩০০ বছরে রীতিনীতি৷

[এবার পুজোয় আপনিও দুর্গা কিংবা অসুর, জানেন কীভাবে?]

মতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই গৌরহরি বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট দাদু৷ অবিভক্ত বাংলার যশোহর জেলার অন্তর্গত বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বনগাঁ মহকুমার ছয়ঘড়িয়া গ্রাম৷ ওই এলাকারই জমিদার গৌরহরির হাত ধরেই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে মা দুর্গার পুজো শুরু৷ জন্মাষ্টমী থেকে নিয়ম করে জমিদার বাড়ির ঠাকুর দালানে তৈরি হত মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি৷ এই বাড়িতে মায়ের একটু ভিন্নরূপ৷

Advertisement

[মাঝেরহাটের ক্ষত বুঝতে দিল না বেইলি ব্রিজ]

মায়ের ১০ হাতের মধ্যে দু’টি হাত সাধারণ আকৃতির হলেও বাকি আটটি হাত বিড়ালের থাবার মতো৷ সবই দৈবিক৷ স্বপ্নে পাওয়া৷ তিনশো বছর ধরে চলে আসা নিয়মের কোনও ব্যাখ্যা নেই বর্তমান বংশধরদের কাছে৷ মহালয়ার পর থেকে দশমী পর্যন্ত ঠাকুর দালানে মায়ের পুজো হয় একেবারে প্রাচীন-রীতি মেনেই৷ নবমী শেষে দশমীর ঘণ্টা পড়লেই শুরু হয় মাকে সিঁদুর দান, মিষ্টিমুখের পালা৷ কিন্তু, যতক্ষণ পর্যন্ত আকাশে সন্ধ্যাতারা দেখা না যায়, উমাকে বিসর্জন দেওয়া যাবে না৷ এ নিয়মও একেবারে গোড়া থেকে৷ বাড়ির পেছন দিকে একটু এগোলেই নাওভাঙা নদী৷ ইছামতীর উপনদী এই নাওভাঙা৷

[দশমীতে বিষাদের সুর, মাকে বরণ করে সিঁদুরখেলায় মাতল বাঙালি]

এক সময় এই নদীতে স্রোতে প্রায়ই নৌকা ভাঙতো মাঝিদের৷ তাই অচিরেই নদীর নাম হয়ে ওঠে নাওভাঙা৷ শুক্রবার বিজয়া দশমীতে আকাশে সন্ধ্যা তারা দেখেই নাওভাঙার উদ্দেশে রওনা হন উমা৷ তারপর মাকে নৌকায় তুলে সাত পাক ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বিসর্জন৷ বাড়ির বর্তমান বংশধর বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন সব আত্মীয়স্বজন আসতে পারেন না, কিন্তু এখনও কেউ কেউ নিয়ম করে অর্থ ও জিনিসপত্র পাঠিয়ে দেন মায়ের পুজোর জন্য৷’’

ছবি: অরিজিৎ সাহা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement