টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। তবে এখনও আতঙ্ক এক ফোঁটাও কমেনি অভিশপ্ত ট্রেনের যাত্রীদের মন থেকে। ঘটনার মূহুর্তের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে শিউরে উঠলেন বাঁকুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীরা।
গত শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুমড় মুচড়ে গিয়েছে একাধিক কামরা। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৭৫ জনের। আহত বহু। আহতদের মধ্যে বহু মানুষ ভরতি বাংলার বিভিন্ন হাসপাতালে। কারও শারীরিক চোট খানিকটা সেরেছে। তবে মানসিক যে আঘাত তাঁরা পেয়েছে, তা ভয়ংকর। দুর্ঘটনায় জখম ১২ জন ভরতি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন, চাঁদ মানকি, সন্তুষ্ট মণ্ডল, সুজন বাউরি। বর্তমানে বিপন্মুক এরা তিনজনেই। কিন্তু আর কোনওদিন ট্রেনে চড়তে রাজি নন।
[আরও পড়ুন: উপার্জনের সিংহভাগ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে! বিল গেটসের সঙ্গে এই ভারতীয় শিল্পপতির যোগ কোথায়?]
আহতদের একজন জানান, আচমকা শব্দ। জোরে ধাক্কা লাগে। এরপর তাঁর আর কিছুই মনে নেই। যখন চোখ খুললেন, চারদিকে শুধুই অন্ধকার। রেললাইনের উপর পড়ে ছিলাম। পা থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করা হয়। কারও কথায়, ভাগ্যে যা আছে হবে কিন্তু আর কখনও ট্রেনে চড়বেন না তিনি। ট্রেন মানেই এক আতঙ্ক দুর্ঘটনায় আহতদের কাছে।