শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচন জিতেছিলেন। তার পরে অবশ্য উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। এখন তিনি ঘাসফুল শিবিরের ঘরের লোক। কিন্তু চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) এই বায়রন বিশ্বাসের পরিবারই তৃণমূলের ‘কাঁটা’ হতে চলেছে। বায়রনের তুতো ভাই আসাদুল বিশ্বাস জঙ্গিপুর (Jangipur) থেকে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর মূল লড়াই বলে জানিয়েছেন আসাদুল। ইতিমধ্যে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এখন বায়রনের উভয় সংকট। ভাই নাকি দলীয় প্রার্থী, কার হয়ে প্রচার করবেন? এনিয়ে অবশ্য এখনও কিছুই বলেননি সাগরদিঘির বিধায়ক। অন্যদিকে, আরেকটি কাঁটা হতে চলেছেন সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা। তিনি এই কেন্দ্রে আইএসএফ প্রার্থী। সবমিলিয়ে জঙ্গিপুরে জমজমাট লড়াই।
আসাদুল বিশ্বাস আসলে সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের মামাতো ভাই। আবার ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলুফা ইয়াসমিনের কাকার ছেলে আসাদুল। কিন্তু গোটা পরিবার তৃণমূল হওয়া সত্ত্বেও কেন হঠাৎ নির্দল প্রার্থী (Independent Candidate) হয়ে ভোটে লড়ছেন তিনি? জানা যাচ্ছে, এর নেপথ্যে আসলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিদায়ী সাংসদ খলিলুর রহমানকে মোটেই পছন্দ নয়। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই জঙ্গিপুরে দলের এই মতানৈক্য ছিল। খলিলুরের একাধিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি আসাদুলরা। আর সেই দ্বন্দ্ব কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চব্বিশের নির্বাচনী লড়াইয়ে। এনিয়ে আসাদুলের বক্তব্য, পরিবারের অনেকেই নানা রাজনৈতিক দলের সমর্থক হতে পারে।
অন্যদিকে, জঙ্গিপুরের আইএসএফ প্রার্থী শিল্পপতি শাজাহান বিশ্বাস। তিনি আবার সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের বড়দা। সুতি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সমিতির সভাপতি শাহানাজ বিবি ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার ভাশুর। আগামী ১৫ তারিখ মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা শাজাহানের। তার আগে ১৪ তারিখ শাজাহান বিশ্বাসের সমর্থনে জঙ্গিপুরে নির্বাচনী জনসভা ও রোড শো করবেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এনিয়ে ইমানি বিশ্বাসের সাফ বক্তব্য, বড়দা শাজাহানের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.