Advertisement
Advertisement

Breaking News

লম্বা ইনিংস খেলবে শীত, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে আরও কিছুটা।

MeT predicts long winter in Bengal
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 24, 2018 11:33 am
  • Updated:December 24, 2018 11:33 am

স্টাফ রিপোর্টার: হাড়কাঁপানো ঠান্ডা আর সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। বর্ষবরণ পর্যন্ত এমনই আবহাওয়ার দেখা মিলবে শহরে। তাপমাত্রার পারদ নেমে যেতে পারে আরও কয়েক ডিগ্রি। রবিবার এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া অফিসের।

রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই উত্তুরে হাওয়ার দাপট ছিল। সূর্য ওঠার পরও সেই দাপট এতটুকুও কমেনি। যার ফলে তাপমাত্রা কমে মরশুমের শীতলতম দিনের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গবাসী। গতকাল শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের দু’ডিগ্রি কম। সোমবারের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৬ ও ২৭ তারিখ তা নামতে পারে ১২ ডিগ্রিতে। ৩০ এবং ৩১ তারিখ শহরের তাপমাত্রা হতে পারে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

[ঘরে দু’বেলার ভাত নেই, সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন অসুস্থ বৃদ্ধার]

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের প্রভাব কাটতেই উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বয়ে আসা শুকনো হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক জানিয়েছেন, বর্ষবরণ পর্যন্ত জাঁকিয়ে শীত অনুভূত হবে। তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে আরও কিছুটা। এদিন কোচবিহার থেকে ক্যানিংবাসী, জাঁকিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করেছেন সকলেই। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারকে টেক্কা দিয়ে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৭.৬ ডিগ্রিতে। কোচবিহারে ৯.১ ডিগ্রি। পিছিয়ে নেই শ্রীনিকেতনও। রবিবার রাঢ়বঙ্গের পারদ নেমে আসে ১০-এর ঘরে। আসানসোল, পানাগড়ের তাপমাত্রা ছিল নয়ের ঘরে। আর অতটা না হলেও কলকাতার কপালে যা জুটছে, তাতেই আপাদমস্তক মুড়ে শীত পালনে নেমে পড়েছেন তামাম নগরবাসী। সেভাবে শীত পড়ে না বলে কলকাতাবাসীর হা-হুতাশের অন্ত নেই। হালকা কম্বল, হাফ সোয়েটারে কাজ চালানো লোকজন এবার বিনা বাক্যব্যয়ে ফুলহাতা সোয়েটার, ফেদার জ্যাকেটে শরীর ঢেকেছে। কম্বলের পাট উঠিয়ে লেপের বহর নেমে এসেছে কুলুঙ্গি থেকে। ঠান্ডার কামড়ে তিরিশের ডাকাবুকো যৌবনও আপাতত কেজরিওয়ালের মতো ‘মাফলারম্যান!’

Advertisement

[দু’বছর আগে গণধর্ষিতা, ফের যৌন হেনস্তার শিকার সেই নাবালিকাই]

এদিকে শীতের ছোঁয়া পেতেই মরশুমি আনাজ, ফল ও মন্ডা-মিঠাইয়ে এদিন বাড়িতে দিনভর ভূরিভোজ। অনেকে আবার খাবার বেঁধে বেরিয়ে পড়েছেন পিকনিকে। সব মিলিয়ে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতোই এই ক’টা দিন চুটিয়ে উপভোগ করতে চেষ্টার কসুর করছেন না অনেকে। উত্তর ভারত থেকে আসা হিমেল হাওয়ার দাপটে বড়দিনের আগের ছুটির দিন চুটিয়ে অনুভব করছে রাজ্যবাসী। উত্তুরে হাওয়ার দাপট শুধু তাপমাত্রাই নামায়নি, দ্বিগুণ করে দিয়েছে উৎসবের আনন্দকেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ