নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মোবাইল অ্যাপই হাতিয়ার। তাই দিয়ে এবার বীরভূমে ‘সন্ত্রাস’ রুখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীরা। একইভাবে বিরোধীদের চক্রান্ত রুখতে ওই অ্যাপ ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অ্যাপের সুযোগ ছিল না। না হলে মুখে সাদা গামছা বেঁধে লাঠি হাতে রাস্তায় ‘উন্নয়ন বাহিনী’র দাঁড়িয়ে থাকা রোখা সম্ভব হত বলেই দাবি বিরোধীদের৷ তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে সে সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন তাঁরা৷ পরিবর্তে তাঁরা কোমর বেঁধে নেমেছেন৷ অ্যাপ ব্যবহারের জন্য বিজেপির তরফে কলকাতা থেকে জেলায় নেতা পাঠানো হয়েছে। সিপিএমের তরফে জেলার নেতারা প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে কলকাতা থেকে। যদিও তৃণমূলের দাবি শান্তির বীরভূমে কোথাও কোনও অশান্তি হবে না।
[ আরও পড়ুন: তৃণমূল প্রার্থীর নামের আগেও ‘কমরেড’! দেওয়ালের লেখা দেখে হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে অশান্তি রুখতে এসেছে cVIGIL অ্যাপ। কোথাও অশান্তি হলে ঘটনাস্থল থেকে অ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একশো মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপ নিয়ে অভিযোগকারীকে তার সদুত্তর দিতে হবে। হাতের কাছে এমন অ্যাপকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি, সিপিএম। বিজেপি ইতিমধ্যেই বুথ শক্তি সঞ্চয় কেন্দ্র নামে প্রতি মণ্ডলে একটি করে প্রশিক্ষণ শিবির করেছে। সেখানে মণ্ডলের কার্যকর্তারা বুথের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। কয়েকমাস আগে থেকেই উপযুক্ত কর্মীদের বাছাই করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও হয়েছে৷ বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সবরকম চেষ্টা করব। যাতে জেলার মানুষ নির্ভয়ে নিজের ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবই। সেজন্য শুধু সিভিজিল নয়, আমাদের আরও একটি ওয়ার রুম খোলা হবে। যেখানে কর্মীরা সরাসরি ছবি-সহ অশান্তির খবর পাঠাতে পারবেন।
[ আরও পড়ুন: ‘জনবিরোধী’ সরকার গড়ার ডাক, তৃণমূল প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক]
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা জানান, ‘‘আমরা অ্যাপকে ভরসা করেই তৃণমূল-বিজেপির সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার চেষ্টা করব। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে কর্মীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন৷ বুথভিত্তিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করতে পারেন এমন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও চলছে। যাঁরা ছবি তুলে পাঠাতে পারবেন না, তাঁরা ফোনে নেতাদের জানাবেন।’’ বিরোধীদের এই বন্দোবস্তের মাঝে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এতদিন এরা ছিল কোথায়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঘরে ঘরে উন্নয়ন করছিলেন তখন তারা কী করছিলেন? তৃণমূলের আইটি সেলকে আমরাও তৈরি রাখছি। বিরোধীরা অশান্তি করার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানানো হবে৷’’