Advertisement
Advertisement

Breaking News

Coronavirus

COVID-19 Updates: করোনাকে থোড়াই কেয়ার, প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে চলছে ‘মেলা’, খোলা পার্ক

রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।

Park is open in Basirhat amid Corona Virus cases surges in Bengal | Sangbad Pratidin

আউশগ্রামের মেলার মাঠে ভিড়। ছবি: জয়ন্ত দাস।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 5, 2022 9:42 pm
  • Updated:January 5, 2022 9:42 pm

ধীমান রায় এবং গোবিন্দ রায়: শক্তি বাড়িয়ে চোখ রাঙাচ্ছে সংক্রামক করোনা (Corona Virus)। সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে ফের জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। জনসমাগম এড়াড়ে মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতন বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে পার্ক-ও। কিন্তু রাজ্যের বেশকিছু জেলা থেকে সেই নিয়ম অমান্যের খবর এল। কোথাও মেলার আয়োজন হয়েছে তো কোথাও খোলা রয়েছে পার্ক।

অভিযোগ, আউশগ্রাম ২ ব্লকের ভাল্কি অঞ্চলের রানিগঞ্জ গ্রামের খেলার মাঠে শুরু হয়েছে মেলা। বুধবার তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এদিন একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ছিল বস্ত্রদান অনুষ্ঠানও। এছাড়া তৃণমূল প্রস্তাবিত দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। মেলা উদ্বোধন করেন বাংলা নবাগত অভিনেতা আউশগ্রামের ভূমিপুত্র সঞ্জু। এই মেলার আগে একটি লিফলেট বিলি করা হয়েছিল বলেও দাবি। লিফলেটে লেখা হয়েছিল, এই মেলা সাতদিন ধরে চলবে। আয়োজন করা হয়েছে পঞ্চরসের গান, অর্কেস্ট্রার অনুষ্ঠান-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। মাঠে বসেছে দোকানপাট। সেখানে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ।

Advertisement
Village Fare
মেলার মাঠে বসেছে দোকান-পাট। ছবি: জয়ন্ত দাস।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা পজিটিভ অভিনেতা-সাংসদ দেব ও মিমি চক্রবর্তী, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে]

কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও মেলার আয়োজন ও ভিড়ভাট্টা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। যদিও মেলার কথা বেমালুম উড়িয়ে দিয়েছেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মির্ধা। তিনি বলেন, “আমরা কোভিডবিধি মেনে রক্তদান ও বস্ত্রবিতরণের অনুষ্ঠান করেছি। কিন্তু মেলা হয়নি। মেলার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, লিফলেটে মেলার আয়োজক হিসেবে অরূপবাবুরও নাম ছিল। যদিও আউশগ্রাম ২ বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মেলার অনুমতি দিইনি। তাই কিছু বলতে পারব না।”

Advertisement
Village Poster
মেলার পোস্টার। থবি: জয়ন্ত দাস।

এদিকে সরকারি নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোলা রয়েছে বসিরহাটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র ধান্যকুড়িয়ার একটি পার্ক। চলছে রমরমিয়ে পর্যটকদের আনাগোনাও। যা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বসিরহাটের প্রশাসনিক কর্তারা।

Park
খোলা ধান্যকুড়িয়ার পার্ক। ছবি: গোবিন্দ রায়।

[আরও পড়ুন: H.S. Examination: কবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ? দিনক্ষণ জানাল সংসদ, জারি বিশেষ নিয়মও]

বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়ার জমিদার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে ৩ কিলোমিটার গেলেই একমিন্টু পার্ক। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ভিড় জমান। শীতের আমেজে পার্কে ঘোরাঘুরি, প্যাডেল বোর্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। নবান্নের নির্দেশিকা বলছে, চিড়িয়াখানা, পার্ক, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ থাকবে। সেই বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে তিনদিন ধরে বসিরহাট মহাকুমার মাটিয়া থানার অন্তর্গত ধান্যকুড়িয়া মিন্টু পার্ক খোলা রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি বিধি-নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পর্যটকদেরকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। বাড়ছে ভিড়। প্রশাসনিক কোনও কর্তাই এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

Basirhat Park
পার্কে পর্যটকেদের ভিড়। ছবি: গোবিন্দ রায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ