Advertisement
Advertisement
এস এস আলুওয়ালিয়া, নরেন্দ্র মোদি

সিনেমার আদলে বিজেপির পোস্টার, অভিনেতা মোদি-আলুওয়ালিয়া

পোস্টারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা৷

Poster depicting S S Ahluwalia, Modi in Burdwan sparks row
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 20, 2019 9:43 am
  • Updated:April 20, 2019 9:43 am

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ঠিক যেন সিনেমার পোস্টার। শুভমুক্তির দিনক্ষণ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। বড় আকারে দুই ‘নায়ক’-এর ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ডে শহরের ঐতিহ্যের প্রতীকের ছবি। তার নিচে বড় বড় করে লেখা সিনেমার নাম ‘বর্ধমান দুর্গাপুর, কার্জন গেটে’। অভিনয়ে নরেন্দ্র মোদি ও এস এস আলুওয়ালিয়া। অতিথি শিল্পী হিসাবে বিরোধী দলের তিন প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরি, ডা মমতাজ সংঘমিতা ও রণজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম।

[ আরও পড়ুন: ‘সব থেকে বড় কয়লা মাফিয়া বাবুল’, মুনমুনের প্রচারসভায় তোপ অরূপের]

গত কয়েকদিন ধরেই বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে এই পোস্টার ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে বিতর্কও উঠেছে। বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি প্রার্থীকে। এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীও পালটা একটি পোস্টার বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সেখানে এস এস আলুওয়ালিয়াকে বর্ধমানের অতিথি হিসাবেই বর্ণনা করা হয়েছে। দরকারের সময় বর্ধমানের মানুষ তাঁকে পাবেন কিনা সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়।  

Advertisement

S S Ahluwalia

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বিজেপিকে ঠেকাতে অভিনব কৌশল, জঙ্গলমহলে হনুমানের নামে দল গড়ল তৃণমূল]

২৯ এপ্রিল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে তৈরি ওই পোস্টারে বলা হয়েছে ওইদিনই উন্মোচিত হবে নরেন্দ্র মোদি ও এস এস আলুওয়ালিয়া অভিনীত বর্ধমান-দুর্গাপুর কার্জন গেটে। যা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ধরে তো দেশের মানুষের কাছে অভিনয়ই করে গিয়েছেন। কালো টাকা দেশে ফেরানো, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া, নীরব মোদিদের দেশে ফেরাবেন, সবই তো অভিনয়ই ছিল। তবে এবার দেশের জনতা বুঝিয়ে দেবে বাস্তবটা। আর অভিনয় করার সুযোগ পাবেন না তাঁরা।” তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, “পাঁচ বছর অভিনয় করেও নরেন্দ্র মোদির সাধ মেটেনি। মন্ত্রিসভার সদস্যরও মেটেনি মনে হচ্ছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর সেই সাধ মিটিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে আর অভিনয় করার সুযোগ পাবেন না।”

[ আরও পড়ুন: ‘সন্দেশ কিনলে দিল্লি ফ্রি’! নির্বাচনী মরশুমে চমক কোচবিহারের মিষ্টি বিক্রেতার]

বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অতিথি বলে উল্লেখ করা নিয়ে সমালোচনা করেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। তাঁদের অভিযোগ, দার্জিলিংয়ে জিতে সাংসদ হয়ে অতিথির মতোই সেখানে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। কংগ্রেসের প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রশ্ন তুলেছেন, “আলুওয়ালিয়াজি, দার্জিলিংয়ের মতো বর্ধমান-দুর্গাপুরেরও একই জিজ্ঞাসা, দরকারের সময় আপনাকে পাওয়া যাবে তো?” কার দখলে থাকবে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র, তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন৷ উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২৩ মে৷

ছবি: মুকুলেসুর রহমান

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ