সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পুকুর থেকে মিলল বধূ ও শিশুপুত্রের দেহ।স্ত্রী ও ছেলেকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী। বুধবার সকালের এই ঘটনায় অণ্ডালের ট্রাফিক আউট পোস্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, বিয়ের সময় চাহিদামতো পণ না পেয়ে রুপালি দাসকে খুন করেছে তাঁর স্বামী সুব্রত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সুব্রত দাসের সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে হয় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার কুকরাকুন্দা গ্রামের বাসিন্দা রুপালির। সুব্রত অণ্ডালের ডিভিসি কারখানায় ঠিকাকর্মীর কাজ করে। অণ্ডালের ট্রাফিক পুলিসের আউটপোস্টের কাছেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন তাঁরা। এই বাড়ির মালিক সত্যনারায়ণ কুণ্ডু জানান, “গত সোমবার ছেলের বিয়ের প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানেই কোনও কারণে সুব্রতর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বচসা হয়। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মা ও তাঁদের দেড় বছরের পুত্রসন্তান।”
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ স্থানীয় পুকুরে ভাসতে দেখা যায় মা ও শিশুপুত্রের দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে পুলিশে খবর দেয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে মৃত রুপালির বাপের বাড়ির লোকজনও চলে আসে অণ্ডালে।
গৃহবধূর দাদা সুদীপ দাসের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই বোনের উপর অত্যাচার চালাতে শুরু করে সুব্রত। বিয়ের সময় সুব্রতকে তেমন পণ দেওয়া যায়নি। তবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিয়ের পর জামাইয়ের নামে এক বিঘা জমি দেওয়া হবে। কিন্তু আর্থিক দুর্দশার জেরে সেই জমিও দেওয়া যাযনি। তারপর থেকেই বোনের উপর অত্যাচার শুরু করে জামাই।” পুত্রসন্তান জন্মানোর পর থেকে এই অত্যাচার আরও বাড়ে বলেও অভিযোগ করেন সুদীপবাবু।
তাঁর আরও অভিযোগ, “আমার বোন সাঁতারে যথেষ্ট দক্ষ। তাই জলে ডুবে মরার কোনও কারণ নেই। আমার বোন ও ভাগ্নেকে সুব্রতই খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।” অণ্ডাল থানায় সুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়। সুব্রতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও দু’টি দেহেই কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.